১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে হ্যাঁ আপনি ঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই পর্বে আলোচনা করা হবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি ইতিহাস সম্পর্কে । ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি অনেকেরই অজানা। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি

অনেকেই জানিনা ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কিন্তু এ বিষয়ে অনেকেরই অজানা তাই চলুন জেনে নেয়া যাক ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে বিস্তারিত।

ভাষা আন্দোলন

আপনি নিশ্চয়ই ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তবে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। এখন আমরা আলোচনা করব ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বর্তমানে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপূর্ব ব্রিটিশ শাসনাধীন অভিভুক্ত ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত ছিল। উনবিংশ কের মাঝামাঝি সময় থেকে উর্দু ভাষাটি কৃষি সংখ্যক মুসলিম রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ধর্মীয় নেতা খাজা সলিমুল্লাহ স্যার, সৈয়দ আহমেদ খান মৌলভী আব্দুল হক , নবাব ওয়াকার , প্রমোশনের চেষ্টায় ভারতীয় মুসলমানদের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা উন্নতি হয়।

আরো পড়ুনঃ ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান কেন হয়েছিল

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে ছাত্র সমাজ। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে চলে আসলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ নির্বিশেষে গুলি চালায় সাধারণ ছাত্র সমাজের ওপর। পুলিশের সেই গুলিতে নিহত হয় সালাম, রফিক, বরকত,জাব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেকেই নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুদ্র ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে একত্রিত হয়। বিভিন্ন নির্যাতন করা সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন অর্থাৎ বাইশে ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে।

ছাত্র সমাজ মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশগ্রহণ করে। তারপরে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি না মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে নির্মাণ করা হয় একটি স্মৃতিসৌধ। সেই স্মৃতি সৌধ সরকার ভেঙে ফেলে। একুশে ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ভাষা আন্দোলনের অগ্রযাত্রা । ১৯৫৪ সালের প্রদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয় লাভ করলে ৭ই মে অনুষ্ঠিত হয় গণপরিষদ অধিবেশন আর সেই অধিবেশনে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় বাংলা ভাষাকে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে।

ভাষা আন্দোলন কি

ভাষা আন্দোলন হল ১৯৫২ সালে বাঙালির জাতির প্রাণপ্রিয় মুখের বুলি বাংলা ভাষা অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। ১৯৫২ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু ঘোষণা করার পর যখন বাঙালি ছাত্র সমাজ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পাকিস্তানী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। সেই সময় বাঙ্গালীদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে নিজেদের ভাষার রক্ষার জন্য জীবন দিতে হয়েছিল সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনকেই ভাষা আন্দোলন বলে বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

ভাষা আন্দোলন কাকে বলে

১৯৫২ সালের মাতৃভাষার বাংলার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ যে আন্দোলন করেছিল তাই বাংলা ভাষার আন্দোলন নামে পরিচিত। পাকিস্তান শাসকদের বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যতম একটি প্রতিবাদ হল ভাষার জন্য আন্দোলন। ১৯৫২ সালে বাঙালি দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ভাষা আন্দোলনের সফলতা জুগিয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার জন্য পাকিস্তানের শাসকদের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করে তাই ভাষা আন্দোলন নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে জিন্যা ঘোষণা দেন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু ।

সেই ঘটনার প্রতিবাদেই বাঙালি দামাল ছেলেরা কঠোর আন্দোলন করে তোলে। পাকিস্তানের অধিকাংশ লোকের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। সেই জন্য ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে  বাঙালি দামাল ছেলেরা যখন মিছিল বের করে তখন পুলিশ গুলি চালায়। আর সেইগুলিতে নিহত হয় বাংলার অনেক দামাল ছেলে তার মধ্যে ছিলেন, সালাম , রফিক, শফিক, জাব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেক ছাত্র সমাজ।

১৯৫৬ সালে বাংলা মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাঙালিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে  বাংলা  মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে তাই বলা যায় যে বাঙালিরা তাদের ভাষার অক্ষর জন্য ১৯৫২ সালে যে আন্দোলন করেছিল তাই ভাষা আন্দোলন।

ভাষা আন্দোলনের কারন

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ভাষা আন্দোলনের কারণ কি? আপনারা যারা জানতে চান ভাষা আন্দোলনের কারণ কি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি নিয়ে। ভাষার জন্য বিশ্বের আর কোন জাতিকে রক্ত দিতে হয়নি। পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান যখন দুটি দেশে বিভক্ত হয়।

আরো পড়ুনঃ ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কারণ ও ফলাফল

তখন তাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা ছিল কিন্তু কিছু সংখ্যক পশ্চিম পাকিস্তানের মুখের ভাষা ছিল সেজন্য তারা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনা করে। যখন পাকিস্তান পার্লামেন্টে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে ঘোষণা করা হয় তখন বাঙালি ধামাল ছেলেরা তা মেনে নিতে পারেনি। তার প্রতিবাদে একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ছাত্রসমাজ আন্দোলন গড়ে তোলে। সেটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের মূল কারণ। 

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা ভাষা আন্দোলনের পটভূমি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন ভাষা আন্দোলন কেন হয়েছিল। আর আপনারা যারা ভাষা আন্দোলনের পটভূমি সম্পর্কে জানতে চান আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের শতকরা 80 ভাগ মানুষ ছিল মুসলমান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের শতকরা ৯৭ ভাগ মানুষ ছিল  মুসলমান।

সেজন্য পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হওয়া উচিত সে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর জিয়াউদ্দিন আহমেদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব করলে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র সমাজ, সাংবাদিক সাংস্কৃতিক কর্মী প্রমুখ বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানাই। ১৯৪৭ সালের ৬ এবং সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন-পূর্বক অবস্থান গণতান্ত্রিক দের সম্মেলন বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের শিক্ষা বহন ও আইন আদালতের ভাষা করার দাবি জানানো হয়।

তমদ্দুন মজলিশ নামে একটি সংগঠন করে উঠে যা ভাষার জন্য সোচ্চার হয়ে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আব্দুল কাশেম ২  সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে উক্ত সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৭ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবী জানিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হয় বইটির নাম ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা উর্দু নয়। তারপর ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদ শুরু হলে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি কংগ্রেস দলীয় সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ইংরেজি এবং উর্দুর সঙ্গে বাংলাতেও গণপরিষদে সরকারি ভাষা করার প্রস্তাব প্রদান করেন।

তিনি বলেন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মুখের ভাষা বাংলা সুতরাং পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়াই উচিত। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর লিয়াকত আলি তার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। অধিবেশনে লিয়াকত আলি বলেন যে যেহেতু পাকিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র তাই পাকিস্তান সরকারি ভাষা মুসলমানদের ভাষা হওয়া উচিত। তখন বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হওয়ার জন্য আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্টভাষা ঘোষনার প্রতিবাদে ১৯৪৮সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকাতে ছাত্র সমাজ ধর্মঘট পালন করে।

আরো পড়ুনঃ গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব

বাংলা ভাষার সংগ্রামকে সুষ্টভাবে পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে ২ মার্চ ঢাকার ফজলুল হক হলে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ১১ ই মার্চ পূর্ব বাংলার সকল মানুষ আন্দোলনের জন্য ধর্মঘট আবহান করে । এই আন্দোলনে তখন পুলিশ সরকারে নির্দেশে লাঠি চার্জ করে অনেক জনকে আহত করে।এই সময় ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ।তার মধ্যে ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান ,শামসুল আলমসহ আরো অনেক জনকেই।ছাত্র সমাজের পাশাপাশি সাধারন মানুষ আন্দোলনে অংশগ্রহন  করে ।

পরিস্থিতি খারাপ দেখে পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন রাষ্ট ভাষা সংগ্রাম কমিটির সাথে ১৫ মার্চ আন্দোলনে বসেন এবং ৮ দফা চুক্তিমালাতে স্বাক্ষর করেন। চুপকি মালার মূল বিষয় ছিল ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হবে। পুলিশের অত্যাচারের নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত করা হবে, এবং পূর্ব বাংলার ব্যবস্থাপক পরিষদে বাংলা কে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবে উপস্থাপনা করা হবে। 

সংবাদপত্রে উগ্র থেকে নিষাদাগ্গা প্রত্যাহার করা হবে ইত্যাদি তবে পূর্ব বাংলার সরকার সেই শর্তগুলো বাস্তবায়ন না করায় ভাষা আন্দোলন অব্যাহত থাকে। .১৯৪৮ সালের২১ শে মার্চ ঢাকা রেসকো ময়দানে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় মোঃ আলী জিন্নাহু স্পষ্ট বক্তব্য প্রদান করেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা আর অন্য কোন ভাষা নয়। তারপরে ১৯৫২ সালে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ভাষা আন্দোলনের আবার পুনরায় আন্দোলন শুরু হয়। 

তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন ১৯৫২ সালের ২৭শে জানুয়ারি একজন সবাই ঘোষণা দেন যে উর্ধ্বে হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এই ঘোষণার প্রতিবাদে তখন ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ সর্বসাধারণ তৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যার ফলে সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ধর্মঘট এবং জনসভার আহবান করে। ৩০ জানুয়ারি সেই জনসভায় ৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ধর্মঘট এবং জনসভার আহবান করে। 

সেই ৪ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ ঠেকাতে সারা ঢাকা ১৪৪ ধারা জারি করা হয় । সরকারের সরকারের সেই ঘোষণায় ছাত্র সমাজ ১৪৪ ধারা ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয় । তখন ছাত্রসমাজ সেই আইন ভেঙে ফেলার জন্য চিন্তা করে যে দশজন দশজন করে মিছিল বের করবে। সেই দিন মিছিল করার কারণে অনেকেই গ্রেফতার হয়। 

যার প্রতিচ্ছবি পড়ে ১৯৫২ সালের ২৬ শে মার্চ সেই ১৪৪ ধারা বঙ্গ দাবিতে মিছিল করার ফলে সেই মিছিলে পুলিশ তাদের উপরে কাঁদুনে গ্যাস এবং গুলি করতে থাকে সেই গুলিতে নিহত হয় জব্বার, সালাম, বরকত, রফিকসহ নাম না জানা আরো অনেকেই শহীদ হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনেস্কো কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে ১৯৯৯ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

লেখকের শেষকথাঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি 

উপরোক্ত পর্ব শেষ করে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও পটভূমি সম্পর্কে। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি আমি কি বলতে পারে অসংখ্য পানের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা। আপনাদের যদি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য এবং পটভূমি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে থাকেতাহলে  আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url