ওপরের পোস্ট সূচিপত্র তে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানের সম্পর্কে পোস্ট
সূচিপত্র তে উল্লেখ করা হয়েছে। নিচে সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বর্ণনা করা
হবে সেজন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সিলেটের দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন এবং প্রতি বছর অনেক মানুষ
সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণের জন্য আসে। সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলো
পর্যটক মন ভরিয়ে দেয়। আজকে আমরা আলোচনা করব সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলো
সম্পর্কে। কারণ প্রতিদিন সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার জন্য বাংলাদেশের
বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিদেশ থেকে অনেক মানুষ ভ্রমণ করতে আসে সিলেটের দর্শনীয়
স্থানগুলোতে।
বাংলাদেশের প্রকৃতির সৌন্দর্যের অন্যতম পর্যটন নগরী সিলেটের দর্শনীয়
স্থানগুলো। সিলেটে রয়েছে চা বাগান , জাফলং , জলাবন , রাতারগুল , হাকালুকি ,
হাওর , ভোলাগঞ্জ , লালাখাল , বিছানাকান্দি , তামাবিল , পাহাড় ,ঝর্ণা , সব
মিলিয়ে সিলেট বিভাগকে বলা হয় প্রকৃতি কন্যা।
সিলেট জাফলং
ভ্রমন প্রিয়সি পর্যটকদের জন্য সিলেটের জাফলং অন্যরকম একটি দর্শনীয় স্থান।
বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত পর্যটন কেন্দ্র। সিলেট
শহর থেকে জাফলং এর দূরত্ব ৬২ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে। সিলেটের জাফলং এর
অবস্থান ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের
পাদদেশ দেশে অবস্থিত। ঐতিহাসিকদের মতে বহু বহু হাজার বছর ধরে
খাসিয়া জৈন্তা রাজার অধীনে থাকা এক নির্জন জনভূমি।
একসময় জমিদার পথার যখন বিলুপ্ত হয় তখন খাসিয়া জৈন্তা রাজ্যের অবসান
ঘটে। তখন জাফলং এলাকাটি পতিত অবস্থায় পড়েছিল। তারপর একসময় পাথরের
ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকা থেকে সিলেটের জাফলং এ পাথর সংগ্রহ
করতে আসতো নৌপথে । তারপর ধীরে ধীরে প্রসার ঘটতে থাকে পাথর ব্যবসায়ী
তারপরে একসময় গড়ে ওঠে নতুন জনবসতি।সিলেটের জাফলং পাহাড় আর নদীর অপরূপ
সৌন্দর্য বলে দেয় এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে
পরিচিত।
পর্যটনের সাথে সাথে জাফলং এর পাথরের জন্যেও বিখ্যাত । জাফ লাগের ধর্ষণীয়
স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঝর্ণা। জাফলং এর বাংলাদেশের সীমান্তে দাঁড়ালে
ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে উঁচুতে থাকা পাহাড়গুলো থেকে নেমে আসা ঝর্ণা পর্যটকের
অন্যতম আকর্ষণ। তাছাড়া ভারত সীমান্তের কাছাকাছি ঝুলন্ত সেতুতে আকর্ষণ করে
অনেককেই।
সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান
আজকের আর্টিকেলের এই মুহূর্তে আলোচনা করা হবে সিলেটে শহরের দর্শনীয় স্থান
সম্পর্কে। আপনারা যারা সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাদের
জন্য আমাদের এই আজকের আর্টিকেলটি আজকের আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন সিলেট
শহরের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। সেজন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এখন আমি আপনাদের সুবিধার জন্য সিলেট বিভাগের ২০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে
আলোচনা করব।
- জাফলং
- আলী আমজাদের জমিদার বাড়ি
- বিছানাকান্দি
- ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
- মাধবকুন্ডু ইকোপার্ক
- রাতারগুল জালবন
- লালাখাল
- শাহজালালের দরগা
- শাহ পরানের মাজার
- সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
- ওসমানী জাদুঘর
- ইরাবতী পাঠশালা
- গাজীপুর হান উদ্দিনের মাজার
- খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান
- ডিবির হাওর
- নাজিমগড় রিসোর্ট
- বার্ষিজোড়া ইকোপার্ক
- রামপাশার জমিদার বাড়ি
- শ্রীপুর সিলেট
-
সাজিদ রাজার বাড়ি।
উল্লেখিত দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে এখন নিচে বর্ণনা করা হবে। আপনারা
সিলেটের যে সকল স্থানগুলো ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন সেসকল স্থানগুলো সম্পর্কে জেনে
এবং বুঝে ভ্রমণ করলে আপনার ভ্রমণ আরো বেশি আনন্দদায়ক হবে
জাফলং
বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি পর্যটন কেন্দ্র হল
জাফলং । সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর পূর্বদিকে অবস্থিত জাফলং।সিলেটের
জাফলং এর অবস্থান ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের
পাদদেশ দেশে অবস্থিত। ঐতিহাসিকদের মতে বহু বহু হাজার বছর ধরে খাসিয়া জৈন্তা
রাজার অধীনে থাকা এক নির্জন জনভূমি। একসময় জমিদার পথার যখন বিলুপ্ত হয় তখন
খাসিয়া জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটে।
তখন জাফলং এলাকাটি পতিত অবস্থায় পড়েছিল। তারপর একসময় পাথরের ব্যবসায়ীরা
পাথরের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকা থেকে সিলেটের জাফলং এ পাথর সংগ্রহ করতে আসতো
নৌপথে । তারপর ধীরে ধীরে প্রসার ঘটতে থাকে পাথর ব্যবসায়ী তারপরে একসময় গড়ে
ওঠে নতুন জনবসতি।সিলেটের জাফলং পাহাড় আর নদীর অপরূপ সৌন্দর্য বলে দেয় এই
এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
পর্যটনের সাথে সাথে জাফলং এর পাথরের জন্যেও বিখ্যাত । জাফ লাগের ধর্ষণীয়
স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঝর্ণা। জাফলং এর বাংলাদেশের সীমান্তে দাঁড়ালে
ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে উঁচুতে থাকা পাহাড়গুলো থেকে নেমে আসা ঝর্ণা
পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণ। তাছাড়া ভারত সীমান্তের কাছাকাছি ঝুলন্ত সেতুতে
আকর্ষণ করে অনেককেই।
আলী আমজাদের ঘড়ি
বাংলাদেশের সিলেট শহরে অবস্থিত উনবিংশ শতকে একটি স্থাপনা , যা মূলত একটি
বেড়ে টাকার ঘড়ি একটি ঘরের চূড়ায় অবস্থিত । সুরমা নদীর তীর ঘোষের সিলেটের
সদর উপজেলায় অবস্থিত এই ঘড়ির ামিটার আড়াই ফুট এবং ঘড়ির কাটা দুই ফুট
লম্বা। এই ঘড়িটির প্রচলন ছিল না সেই সময় অর্থাৎ ১৮৭৪ সালে। এই ঘড়িটি
সিলেটের জমিদার আলি আহমেদ খাঁ তার ছেলে আলি আমজাদের নামে নামকরণ করেন ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘড়িটি নষ্ট হয়ে যায় । তারপরে দেশ স্বাধীন হওয়ার
পরে ১৯৮৭ সালে আলী আমজাদ ঘড়ি পুনরায় ঠিক করা হয়। ঘড়িটি অনেক সময়
নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু সেই ঘড়িটি অনেক পরিশ্রম করে পুনরায় ঠিক করা হয়েছে
তারপরে ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই ঘড়িটিকে মেরামত করা হয় এবং
তারপর থেকে দৈনিক ২৪ ঘন্টা সচল সময়ে রয়েছে।
বিছানাকান্দি
বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলা অবস্থিত রুস্তমপুর ইউনিয়নের
গ্রামের মধ্যে অবস্থিত বিছানাকান্দি। বর্তমানে প্রত্যেক বছর প্রচুর পর্যটক
ভ্রমণ করতে আসে বিছানাকান্দি। বিছানাকান্দি পর্যটন পর্যটন এলাকাটি মূলত একটি
পাথর কোয়েরি যেখানে নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করা হয়। খাসিয়া পর্বত থেকে নেমে
আসা একটি ঝর্ণা এখানে একটি হ্রদের সৃষ্টি করেছে যা পিয়াইন নদীর সাথে মিলিত
হয়েছে। এখানকার শিলা পাথরগুলো একদম প্রাকৃতিক এবং এগুলো পাহাড়ের ঢলের সাথে
পানির মাধ্যমে নেমে আসে।
ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
সিলেটের একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনের স্থান হল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। বাংলাদেশের
সর্ববৃহৎ পাথর ওয়ারির অঞ্চল হল ভোলাগঞ্জ। ভোলাগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত ১১
কিলোমিটার এলাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে। পৃথিবীর সর্বাধিক
বৃষ্টিবহুল এলাকা, চেরাপুঞ্জির অবস্থান ভারতের পাহাড়ি রাজ্যের মেঘালয়ে।
পর্যটকদের মন কে আকর্ষণ করার জন্য সাদা পাথর সে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।
তাছাড়া রয়েছে সিলেট জেলায় আরো অনেক দর্শনীয় স্থান। সিলেটের দর্শনীয়
স্থানগুলো দেখে আপনার মন ভরে যাবে। সিলেটকে সেই জন্য বলা হয় প্রকৃতি কন্যা।
সিলেটের চারপাশে সবুজ অরণ্য এবং রয়েছে চা বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য। সিলেটের
সৌন্দর্য আপনাদের মুগ্ধ করে তুলবে।
সিলেটের সুন্দর জায়গা কোনটি
এখন আমরা আলোচনা করব সিলেটের সৌন্দর জায়গা কোনটি সেই বিষয়ে। সিলেটের সৌন্দর
জায়গা কোনটি এ বিষয়ে জানতে আজকের মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সিলেটের বিভিন্ন
দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যেগুলো
পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তোলে। তেমনি কিছু দর্শনীয় স্থান হলঃজাফলং,আলী
আমজাদের জমিদার বাড়ি,বিছানাকান্দি,ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর,
মাধবকুন্ডু ইকোপার্ক,রাতারগুল জালবন,লালাখাল,শাহজালালের দরগা,শাহ পরানের
মাজার,সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,ওসমানী জাদুঘর,ইরাবতী পাঠশালা,গাজীপুর হান
উদ্দিনের মাজার,খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান,ডিবির হাওর, নাজিমগড়
রিসোর্ট,বার্ষিজোড়া ইকোপার্ক,রামপাশার জমিদার বাড়ি,শ্রীপুর সিলেট,সাজিদ রাজার
বাড়ি। সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলো আপনি যদি একবার ভ্রমণ করে দেখেন তাহলে আপনার
সারা জীবন মনে থাকবে এবং আপনার বারবার যেতে ইচ্ছে করবে।
সিলেট ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
আবহাওয়া ও ঋতুর পরিবর্তন জনিত কারণে নির্দিষ্ট মাসের নাম বলা কষ্টকর। সিলেটে
ভ্রমণের আদর্শ সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। বর্ষার শুরুতে লাগিয়ে বর্ষার মাঝেমির
সময়ে সিলেট ভ্রমণের উত্তম সময়। কারণ আপনি যদি বর্ষাকালে যান তাহলে সেখানকার
ঝর্ণাগুলোর সৌন্দর্য আপনি উপভোগ করতে পারবেন। বর্ষা ছাড়া আপনি যদি অন্য যে কোন
সময় যান তাহলে সেই ঝর্ণাগুলোকে পানি থাকে না।
আর সিলেটের তুলনামূলক বেশি শীত অনুভব হয়। সেজন্য আমার কাছে মনে হয় যে সিলেট
ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় হচ্ছে বর্ষকাল। বর্ষাকালে আপনি সিলেট ভ্রমণ করতে
গেলে সিলেটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন সেই সাথে নৌকাতে করে আপনি ধরতেও
পারবেন।
সিলেট জাফলং হোটেল ভাড়া
সাধারণত আমাদের কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে সবার আগে যে বিষয়টা চিন্তা করতে হয়
সেটা হলো সেখানে থাকার হোটেল আছে কিনা। তারপরে আমাদের চিন্তা করতে হয় সেখানকার
হোটেলের ভাড়া কেমন এবং আমাদের হাতের নাগালে আছে কিনা। সিলেটে রয়েছে হযরত
শাহজালালের (রাঃ) মাজার এবং শাহপরানের (রাঃ) মাজার, জাফলং, কুলুম ছাড়া ঝর্ণা,
মায়াবন , লালাখাল ।
সিলেটে ভমন করতে গিয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি নিয়ে চিন্তা হয় সেটা
হল হোটেলের থাকার জন্য হোটেল ভাড়া। কারণ হলো প্রচুর পরিমাণে পর্যটক সিলেট
ভ্রমণ করে। সেজন্য সেখানকার হোটেল ভাড়াও অনেক বেশি । তাছাড়া আপনি চাইলে কম
দামের হোটেল গুলোতেও থাকতে পারবেন। এখন নিচে আমি কিছু আপনাদের সুবিধার জন্য
জাফলং এর কিছু হোটেলের ভাড়া তুলে ধরলাম ।
-
লা ভিস্তা হোটেল যার প্রতি রাতের জন্য ভাড়া .৩৫০০থেকে ৮ হাজার টাকা
পর্যন্ত।
- হোটেল হলি গেট যার সাধারণ ভাড়া ২০০০ থেকে ৬ হাজার টাকা।
- ব্রিটানিয়া হোটেল যার প্রতি রাতের ভাড়া ৪ হাজার থেকে বার হাজার টাকা
-
হোটেল নূরজাহান গ্রেট এর ভাড়া প্রতি রাতের জন্য ৬০০০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
-
জাফলং গ্রিন রিসোর্ট যেখানে আপনি এসি এবং নন এসি দুই রকমই সুবিধা পাবেন আর
সেখানে আপনি সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩৫০০ টাকা পর্যন্তবেডরুম পেয়ে
যাবেন।
লেখকের শেষকথাঃসিলেট বিভাগের ২০টি দর্শনীয় স্থান - সিলেট ভ্রমণের উপযুক্ত
সময়।
আপনারা যারা সিলেট বিভাগের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন আশা
করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে তারা অনেক উপকৃত হবেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি
আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর আপনার
বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না কারণ তারাও সিলেটের দর্শনের স্থানগুলো
ভ্রমণের জন্য যেতে পারে।
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url