সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন

প্রিয় পাঠক অনেকেই গুগলের সার্চ দিয়ে থাকেন  বিষাক্ত প্রাণীর দংশন থেকে বাঁচার দোয়া এবং কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয়   সম্পর্কে। তো আজকে আমি আপনাদের এমন একটা সূরার আয়াতের কথা বলবো যেটা পাঠ করলে আপনারা বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন।আয়াত টি হলো সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। আপনার যদি জানার ইচ্ছে থাকে বিপদে পড়লে কোন দোয়া হয়  এবং সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত।
সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক  বিষাক্ত প্রাণীর দংশন থেকে বাঁচার দোয়া  এবং কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয় সে সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে । তাই আজকে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

বিষাক্ত প্রাণীর দংশন থেকে বাঁচার দোয়া

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিষাক্ত কীটপতঙ্গ যেমন সাপ, বিচ্ছু , কিংবা হিংসাত্মক পানির আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার জন্য দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। বিষাক্ত প্রাণীর আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা খুব জরুরি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদের একটি দোয়া পাঠ করার জন্য বলেছেন যে আমরা যদি সকালে এবং বিকেলে আমল করতে পারি তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিষাক্ত ক্ষমা আক্রমণ থেকে রক্ষা করবেন ।
হয়রত আবু  হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে কোন ব্যক্তি যদি সকালে এবং সন্ধ্যায় এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষতিকর প্রাণী, বিশেষ করে সাপ বিচ্ছু প্রভৃতি বিশ্বাস ও কষ্টদায়ক প্রাণীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন (তিরমিজি ৩৬০৪)

দোয়াটি হলঃ আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তা - ম্মাতি মিন শাররি মা খলাক। যার বাংলা অর্থ হচ্ছে এই যে, আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কোন ব্যক্তি যদি সকালে এবং সন্ধ্যায় তিনবার করে এই আয়াতটি পাঠ করে তাহলে সকল প্রকার বিষাক্ত প্রাণী এবং বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন। আমাদের জীবনের সকল বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সব সময় আল্লাহ তালাকে স্মরণ করতে হবে ।

কোন সূরা পড়লে বিপদ দূর হয়  

কখন কার ওপর বিপদ আসে কেউ জানে না। সাধারণত মানুষ বিপদে পড়লে বা সংকটে পড়লে কি করবে তা বুঝতে পারেনা । তখন মানুষ বুঝতে পারেনা সে কি চিন্তা ভাবনা করবে সেই জন্য তখন সে দিশেহারা হয়ে যায় তাই সে ভুলে যায় তখন তার করণীয় কি? বিপদে পড়লে আমাদের সকলের উচিত আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাওয়া। আল্লাহ তায়ালা তিনি একমাত্র আমাদের সকল বিপদ থেকে উদ্ধার কর্তা। তিনি চাইলে আমাদের সকল বিপদ এবং সমস্যা থেকে মুহূর্তে মুক্তি করে দিতে পারেন।
আল্লাহ চাইলে আমাদের সকল প্রকার চিন্তা এবং দুশ্চিন্তা দূর করে দিতে পারেন। বিপদ থেকে দূর পাওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কাছ থেকে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করতেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিপদে পড়তেন তখন তিনি এই দোয়াটি পাঠ করতেন, "ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহমাতিকা আসতাগিছ" যার বাংলা অর্থ, হে চিরঞ্জিব, হে বিশ্ব চরাচরের ধারক আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

তাছাড়া হযরত ইউনুস (আঃ) যখন বিপদে পড়ে মাছের পেটের ভিতর ছিল তখন তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দোয়া করেছিলেন এবং আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া কবুল করেছিলেন। ইউনুস (আঃ) আল্লাহর কাছে যে দোয়াটি করেছিল সেই দোয়াটি হচ্ছেঃ লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্জালিমিন।

যার বাংলা অর্থ এই যে, হে আল্লাহ, তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই তুমি মহা পবিত্র নিশ্চয়ই তুমি সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত । প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমরা যদি কখনো কোন সময় বিপদে পড়ো সর্বপ্রথম তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে।

সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন

সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন এমন একটি দোয়া যার ফজিলত সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন ফজিলত সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন পাঠের ফজিলত সম্পর্কে। সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন সম্পর্কে জানতে আজকের কি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
হযরত নূহ (আঃ) এর সময়ে আল্লাহ তায়ালা হযরত নূহ (আঃ) কে একটি বিশাল নৌকা বানাতে বলেছিলেন কেননা আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র হযরত নূহ (আঃ) অনুসরণ করে এবং ইসলাম ধর্ম মেনে চলে এমন সব মানুষকে আল্লাহ তা'আলা বাঁচিয়ে রাখবেন এবং সকল মুনাফিক এবং কাফেরদের আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিবেন সেজন্য নৌকা বানাতে বলেছিলেন । 

আর আল্লাহতালা বলেন সেই নৌকাতে তোমরা সকল কিছু জোড়ায় জোড়ায় উঠবে তখন সেই সময় সাপ-বিচ্ছু এগুলো উঠতে থাকে তখন হযরত নূহ (আঃ) তাদেরকে উঠতে বারণ করেন কারণ তখন তিনি বলেন তোমরা মানুষদেরকে দংশন করো যার ফলে মানুষ মারা যায় সেজন্য তোমরা নৌকাতে উঠবে না তখন আল্লাহ তায়ালা সাপের মাধ্যমে একটি আয়াত পাঠ করে আয়াতটি হলো সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন।

তোমরা যদি এই আয়াত পাঠ করো তাহলে তোমাদের কোন সাপ-বিচ্ছু কিংবা কোন বিষাক্ত পোকামাকড় তোমাদের কামড় দিবে না। আপনি যদি মনে করেন এমন কোন স্থানে আপনি যাবেন যেখানে গেলে আপনি সাপ - বিচ্ছু হতে হয় তাহলে আপনি এই আয়াতটি মনোযোগ সহকারে যদি এক থেকে তিনবার পাঠ করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাকে সাপ-বিচ্ছু কিংবা বিষাক্ত কোন পোকামাকড় কামড় দিবে না।

তাছাড়া পবিত্র কুরআনে আরও বিভিন্ন কুরআনের আয়াত রয়েছে যেগুলো পাঠ করলে আপনি সকল প্রকার বিপদ এবং বিষাক্ত পোকামাকড় থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাহলে আপনারা জানতে পারলেন সালামুন আলা নুহিন ফিল আলামিন আয়াতটি পাঠের ফজিলত সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আরো নতুন নতুন বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url