কারাগারে কিভাবে কারাবন্দীদের সাথে দেখা করবেন?

 কারাগার


সূচনা:- একজন ব্যক্তিকে পুলিশ অ্যারেস্ট করার পরে সরাসরি কারাগারে প্রেরণ করেন না। সেই ব্যক্তির অধীনস্থ থানায় তাকে রাখা হয়। এর পরবর্তীতে তার মামলার চার্জশিট সহ তাকে কোটের কাস্টুরিতে রাখা হয়। এরপর তার মামলার শুনানি হয় এবং তাকে কারাগারে প্রেরণ হয় ।



কাস্টোরি থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া:–

মূলত ব্যক্তির মামলার জন্য তাকে কাত কাস্টুরিতে হয়। এইটা মূলত অস্থায়ী কারাগার। ব্যক্তির মামলার শুনানি শেষে তাকে কারাগাকারাগারেরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রক্রিয়ায় কারাগারের নির্দিষ্ট গাড়ি কাস্টুরি সামনে পুলিশ নিয়ে আসেন এবং পুলিশ প্রটেকসনে কারাবন্দিদের এবং সাযাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।


কারাগারে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে কিভাবে দেখবেন:–

কারাগারে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে জন্য দেখার মূলত কারাগারে সামনে একটি আইন প্রক্রিয়া রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় মূলত কারাবন্দির নাম এবং তার পিতার নাম এবং তার গ্রাম জানতে হয়। এই ঠিকানা অনুযায়ী কারাগারে থাকা জেল পুলিশ একটি রিসিভ লিখেন। এভাবে মোট ১৫ টি রিসিভ একত্রিত হওয়ার পরে জেল পুলিশ রিসিটটি জেলার সাহেবের নিকট পাঠান। সেখানে রিসিভের নাম অনুযায়ী ভিতরে থাকা জেল পুলিশ কারাবন্দীদের লাইন করেন। এরপর সে একটি জেলা সাহেব সিগনেচার করে পুনরায় পাঠিয়ে দেন বাহিরে অর্থাৎ কারাগারে থাকা জেল পুলিশদের কাছে। এবার জেল পুলিশ রিসিভ হাতে পেয়ে কাতারের সামনে কারাবন্দীদের সাথে দেখা করতে আসা আত্মীয়-স্বজনদের উদ্দেশ্য করে কারাবন্দীদের নাম পিতার নাম মাইক দিয়ে ডাকেন। এরপর আত্মীয়-স্বজনদের ভিতরে নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়।
একজন কারাবন্দীর সাথে সর্বোচ্চ পাঁচ জন ব্যক্তি দেখা করতেন। দেখা করতে আসা আত্মীয় স্বজনদের জেল পুলিশ সার্চ করেন যেন কোন সয় বস্তু ভিতর নিয়ে যেতে না পারে। মূলত মোবাইল ফোন যেন কোনোভাবেই নিয়ে যেতে না পারেন। সার্চ করা শেষে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় কারাবন্দিদের সাথে দেখা করানো জন্য।




কারাবন্দিদের কিভাবে তাদের প্রয়োজনীয় পোশাক দিবেন :-

কার অবশ্যই কিছু পোশাক দেওয়া যাবেনা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য মাফলার, প্যান্টের বেল্ট, পুরনো লুঙ্গি , এসব দেওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে উল্লেখযোগ্য যে যে পুলিশদের স্টোর রয়েছে যেখান থেকে নতুন লুঙ্গি কিনে দেওয়া যায়। অন্যান্য সব পোশাক জেল পুলিশ চেক করেন এবং ভিতরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। যে স্টোরে আপনি পোশাক জমা দিবেন কারাবন্দীদের সেখান থেকে কারাবন্দীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার ক্রয় করে দিতে পারবেন।


কারাবন্দীদের কাছে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া :-


কারাবন্দীদের কাছে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়াও তাদের সাথে দেখা করার মতোই।তাদের পাঠানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে কারাগারের সামনে যে পিচিও রয়েছে এখানে পেতে হবে। আপনি যে কারাবন্দিকে টাকা পাঠাতে চান তার (নাম তার পিতার নাম তার গ্রাম এবং থানা) অবশ্যই জানতে হবে। জেল পুলিশের নাম ঠিকানা অনুযায়ী একটা রেসিপি লিকবেন, আপনি যে পরিমাণ টাকা তাকে পাঠাতে চান সে পরিমাণ টাকা সেই রিসিপে লেখা থাকবে। সেই রিসিপ কপির একটি কপি আপনাকে দিবেন।




নির্দিষ্ট সময় শেষে কারাবন্দি জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রক্রিয়া :-

কারাবন্দী যদি ম্যাজিস্টেট কোট অথবা জেলা জজ অর্থাৎ জজকোট থেকে জামিন পায় তবে তার কাগজ দ্রুত জেলে আসে এবং তাকে একদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং এটি যদি হাইকোর্ট থেকে জাবিন হয় তবে কাগজ আসতে সর্বনিম্ন 10 দিন সময় লাগে । অর্থাৎ হাইকোর্টে জামিন হওয়ার দশ দিন পরে তাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


আসামি জামিন হয় এবং কারাগারে টাকা লাগানো থাকে তাহলে সেই টাকা তোলার উপায় :-
আসাম জামিন হয়ে যায় এবং তার জন্য যে টাকা কারাগারে লাগানো হয় সে টাকা তোলার জন্য কারাগারে লাগানো টাকার রিসিভ কপিসহ একটি আবেদন করতে হয়। কে আপনি জেল পুলিশ কারাগারে ক্যাশ বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেন এবং তারা বিষয়টি দেখেন এবং কি পরিমাণ টাকা ব্যক্তির নামে রয়েছে তা আবেদনকারির কাছে পাঠিয়ে দেন। যদি নাম ঠিকানা ঠিক থাকে তবে এই প্রক্রিয়া ২ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ হয় । তবে কিছু কিছু সময়ে দুইদিন পর হতে পারে। তবে কর্মকর্তারা আপনাকে জানিয়ে দিবেন যে আপনি কতক্ষণ বা কত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত পাবেন।


লেখক এর শেষ কথা:- আমি একজন লেখক হিসেবে বলছি এমনটা না। আমি আজকের এই বিষয়টির সম্পূর্ণ আমার জীবনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম। কারণ এই ভোগান্তিতে আমি নিজে জড়িত ছিলাম। কিভাবে দেখা করতে হয় কিভাবে বা দিতে হয় তা আমি নিজেও জানতাম না সম্পূর্ণ বিষয়টি আমাকে অনেক ভোগান্তিতে ফেলে ছিল। আশা করছি এরকম দিন কারো জীবনে না আসুক। যদি আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনি এ বিষয়ে ধারণা পেয়ে যাবেন জীবনের কোন সময় কাজে লাগবে তা হয়তো সৃষ্টিকতা যানে।সকলের সুস্থতা কামনা করে বিদায় জানাচ্ছি হয়তো আবার কোন বিষয়ে নতুন করে দেখা হবে আপনাদের সাথে। সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url