হজ্জের গুরুত্ব এবং হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি বিস্তারিত জানুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন হজ্জের গুরুত্ব এবং হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ? যদি না থাক তাহলে এইটি আপনার জন্য । আমরা আলোচনা করব হজের গুরুত্ব এবং হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি এ বিষয়। আজকের পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলেই বুঝতে পারবেন হজ্জের গুরুত্ব এবং হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি এ বিষয়ে।


তাহলে এবার চলুন আলোচনা করা যাক হজ্জেরগুরুত্ব এবং হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি এ বিষয়ে। এ বিষয়গুলো জানতে আপনাকে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি হজ্জের গুরুত্ব এবংহজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি বিষয় সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন

পোস্ট সূচিপত্রঃহজ্জের গুরুত্ব এবং হজ্জের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি বিস্তারিত জানুন

  • হজ্জ কী
  • হজ কাকে বলে
  • হজ্জের ইতিহাস
  • হজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
  • হজ্জ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
  • হজ্জ না করার শাস্তি
  • হজ্জের উদ্দেশ্য কী
  • হজ্জের ফরজ কয়টি
  • হজ্জের ওয়াজিব কয়টি 
  • হজ্জের ফরজ হাওয়ার শর্ত কয়টি
  • হজ্জের রুকন কয়টি  
  • হজ্জের মিকাত কয়টি
  • মহিলাদের হজ্জ করার  ফরজ হাওয়ার শর্ত
  • হজ্জে মহিলাদের পর্দা
  • মহিলারা কাদের সাথে হজ্জে  যেতে পারবে
  • ২০২৩ সালে হজ্জের সম্পর্কে বিস্তারিত 

হজ্জ কী

ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত । এই পাঁচটি স্তম্ভ হল কালিমা , নামাজ , রোজা , যাকাত , হজ্জ ।এই পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য যেগুলো ফরজ সেগুলো হল কালিমা , নামাজ ,রোজ , আর বাকি হল সম্পদশালী এবং ধনী ব্যক্তিদের জন্য। যারা প্রচুর টাকার মালিক এবং অনেক সম্পদ আছে তাদের উপরে যাকাত এবং হজ্ব ফরজ।

হজ্জ আরবির শব্দ এর বাংলা অর্থ  হলো নিয়ত করা,সংকল্প করা ,গমন করা ,ইচ্ছা করা ,প্রতিজ্ঞা করা, ইসলামি পরিভাষায় নির্দিষ্ট দিনে নিয়তসহ ইহরামরত অবস্থায় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা এবং বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করা হজ্জ বলে । হজ্জ হলো মুসলমানদের জন্য পবিত্রতম শহর সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইসলা ইসলামিক তীর্থযাত্রা ।

হজ্জ মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক ধর্মীয় ইবাদত ।  হজ্জ পালন করতে শারীরিক ও আর্থিক সক্ষম হতে হবে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের ঘরে পরিবারকে ভরণপোষণের জন্য পরিবারে আরও সদস্য আছে এমন সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জীবনে একবার হজ্জ করা ফরজ। হযরত মুসলমান জাতির শহীদ সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ করার একটি বহিঃপ্রকাশ । 

শব্দের অর্থ হলো যাত্রায় যোগদান করা, যাত্রার বাহিক্য কাজ এবং উদ্দেশ্যের অভ্যন্তরীণ কাজ উভয়কেই বোঝায় আরবি মাসের ক্যালেন্ডার এর তারিখ অনুযায়ী জিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখ থেকে ১২/১৩ তারিখ পর্যন্ত হজের কার্যক্রম পালন করতে হয়। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ অনুযায়ী আরবি জিলহজ মাসের সময় হচ্ছে ১৯ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত 

হজ্জ কাকে বলে 

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভটার তার মধ্যে একটি অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ  স্তম্ভ হচ্ছে হজ্জ । হজ্জ প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ নয় । যে সকল মুসলমানদের আর্থিক এবং শারীরিকভাবে এবং তার অবর্তমানে তাঁর পরিবারের দায়িত্ব পালন করতে পারে এমন কেউ যদি থাকে তারপর হজ্জ আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরআন ও হাদিসের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কাবা শরীফ এবং নির্দিষ্ট স্থানে তাওয়াফ ও জিয়ারত করাকে হজ্জ বলে।

অন্যভাবে বলা যায় যে জিলহজ্জ মাসের তারিখে শিহরাম বেঁধে আরাফার মাঠে অবস্থানসহ কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ে আমল যথাযথভাবে আদায় করা এবং কাবাঘরকে তাওয়াফ ক্রাকে হজ্জ বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে চারটি পবিত্র স্থানে পাঁচ দিনে নয় কাজ করাকে হজ্জ বলে ।

হজ্জের ইতিহাস 

আজকের হজের শুরুটা ইসলামের চূড়ান্ত বিজয় লাভের পরে শুরু হয়নি বরং পৃথিবী পর থেকেই হযরত হাওয়া আলাইহিস সাল্লাম ও হযরত আদম আলাই সাল্লাম থেকে শুরু হয়ে এসেছে । বহু কাল যাবত তারা  বিচ্ছিন্ন থাকার পরে আল্লাহর হুকুমে আরাফার ময়দানে একত্রিত হয় আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সর্বপ্রথম হাওয়া আলাইহিস সাল্লাম এবং হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলে এবং তাওয়াফ করেছিলেন।

এরপর হযরত নূহ আলাইহি সাল্লাম থেকে শুরু করে ইসলামের আরো অনেক নবীরা হজ্জ পালন করেছিলে । হজ্জ পালন করা ফরজ করা হয় হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর পরের সময় থেকে এবং আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দেন চারটি সম্মানিত মাসের মধ্যে জিলহজ্জ মাসে একটি , হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সাল্লাম যখন তার পুত্র  ইসমাইল (আঃ) ও  ইব্রাহীমের স্ত্রী হাজেরাকে আল্লাহর নির্দেশে মরুভূমির মধ্যে রেখে চলে যাই ।

তারপর পুত্র ইসমাইল পানি পান করার জন্য কান্না শুরু করে । তখন পানির সন্ধানে হাজেরা মারিয়া হইতে ৭ বার সাফা ও মারওয়া। পাহাড়ের মাঝখানে ছোটাছুটি করে কোথাও তিনি পানি পাননি। তারপরে হতাশায় ফিরে এসে হাজিরা দেখেন তার শিশুর পদাঘাতে আল্লাহ তায়ালার রহমতে সেখান থেকে মাটি ফুটে পানি আছড়ে পড়ছে ।পরবর্তীতে ইসমাইল আলাই সাল্লাম ও হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করার আদেশ দিয়েছিলেন।পবিত্র কুরআনে এই ঘটনাকে উল্লেখ করা আছে ।

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে আদেশ করা হয় হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম যেন সমস্ত পৃথিবীর মানুষকে হজ্জের কথা বলেন ।  কিভাবে তিনি তার বাণী সবার কাছে পৌঁছাবেন তিনি তা বুঝতে পারছিলেন না ? এরপর তিনি আল্লাহ তায়ালার উপর দৃঢ় ভরসা রেখে মক্কার আবু কুরাইশ পাহাড়ে আরোহন করেছিলেন এবং দুই কানে হাত দিয়ে ডানে বামে এবং পূর্ব পশ্চিমে মুখ ঘুরিয়ে বলেছিলেন এ জগতে লোক সকল তোমাদের পালনকর্তা তার নিজের গৃহ নির্মাণ করেছেন এবং তোমাদের উপর এগিয়ে হজ ফরজ করা হয়েছে তোমরা সবাই সৃষ্টিকর্তার আদেশ পালন করো ।

একই ইতিহাসে বলা হয় হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর এই ঘটনা বিশ্বের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় সেই জন্য ধর্ম অনুরাগীরা জিলহজ মাসে হজ্জ পালনের জন্য  কাবার দিকে আসতে থাকেন ফরজ হজের কাজগুলো সবগুলোই প্রায় হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর জীবনের সাথে সম্পর্কিত । যেগুলো হলো ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর জন্য আল্লাহ তাআলার বিশেষ পরীক্ষা হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর স্ত্রী এবং তার সন্তানকে একদিন মরুভূমির মধ্যে রেখে চলে আসে ।

তখন ইব্রাহিমের স্ত্রী মরুভূমির মধ্যে থাকা অবস্থায় যখন তাদের খাবার এবং পানি ফুরিয়ে যায় তখন পানি পান করার জন্য হযরত ইসমাইল আলাই সাল্লাম প্রচন্ড কান্না শুরু করেন তখন হাজেরা কান্নার কষ্ট না সহ্য করতে না পেরে সাফা মারওয়াই যখন দৌড়াদৌড়ি করছিলেন তখন হযরত ইসমাইল আঃ এর পতাকাতে মরুভূমির মধ্যে পানির ফুটে উঠছিল। এ ঘটনাকে স্মরণ করতেই হাজরা সাফা মারওয়াতে ছোটাছুটি করে । 

অন্যদিকে আরাফার ময়দানে ঘটনাটি আরও আবেগঘন বেহেশত থেকে যখন হযরত আদম আলাই সাল্লাম ও হাওয়া সাল্লামকে বের করে দেওয়া হয় তখন দীর্ঘ সময় তাদের বিচ্ছেদের পরে তাদেরকে আরাফার ময়দানে একত্রিত হয় । আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো হজ পালনের জন্য আরাফার ময়দানে যাওয়াটা মুসলমানদের জন্য সেখানে একটা রাত অবস্থান করে এবং  কাছে আল্লাহ  তায়াল কাছে কান্নাকাটি করে কান্নাকাটি  ।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বিজয়ের দ্বিতীয় বছরে তার জীবনের সেই সহজ পালন করেন এবং সেই হজে একটা ভাষণ প্রদান করেন সে ভাষণকে বলা হয় বিদায় হজের ভাষণ। এই ভাষণেই তিনি মানুষদেরকে হজ পালনের জন্য আদেশ করেন ও নিয়মাবলী আমাদের বলে দেন। সেই নিয়মাবলী অনুযায়ী এখন বিশ্বের লাখ লাখ কাবা ঘরে হজ পালন করতে চলে আসে লাব্বাইক হুম্মা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধন্নিতে  মুখরিত করে তুলে হজ্জের ময়দান ।

হজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 

হজ্জ ইসলামের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত  যেটা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি।হজ এমন এক ধরনের ইবাদত যেখানে শারীরিক এবং অর্থনৈতিক দুই ধরনের এবাদত রয়েছে। হজের ইবাদতে শরীর কেউ পরিশ্রম করতে হয় এবং অর্থনৈতিক ও এবাদত করতে হয় । আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে যত এবাদতগুলো করার কথা বলেছেন সেই সকল কথাগুলোর ভাষা আর হজের বিষয়ে কথাগুলো বলার ভাষা আলাদা ।

আল্লাহ তাআলা তার কুরআনে বলেছে জন্য ঘরে গিয়ে হজ আদায় করা এটা আল্লাহর পাওনা বান্দার কাছে আল্লাহর পাওনা ।(ওয়া লিল্লাহি আলান নাস হিজজুল বাইতিমান ইস্তাতা আলাইহি সাবিলা) যে ব্যক্তির সাধ্য আছে সে ব্যক্তির হজ পালন করা বান্দার কাছে আল্লাহর পাওনা ।

আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে হজ করার সামর্থ্য দিয়েছে শুধু তারাই বলতে পারবে দুনিয়াতে এবাদতের স্বাদ গ্রহণ করার উপায় হচ্ছে হজ অর্থাৎ হজ ফরজ হওয়ার পরে কখনোই হজ পালনে বিলম্ব করা উচিত নয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হজ পালনকে মেয়েদের জন্য জেহাদ স্বরূপ ।( ফা  ইন্না হুমা  ইয়ান ফি ইয়ান ফাকরা) হজ এবং উমরা  মানুষের দারিদ্রতা দূর করে। 

হজ্জ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করা আছে , হে মানব সকল আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর হজ  ফরজ করেছেন সুতরাং তোমরা হজ কর । একজন ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ সাঃ কে বলল হে আল্লাহর রাসূল আমাদের কি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হবে? তিনি চুপ করে রইলেন এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করলেন তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন আমি যদি তখন  বলতাম তাহলে তোমাদের উপর প্রতি বছর হজ পালন করা ফরজ ।

তাহলে সেটা ফরজ হয়ে যেত, কিন্তু সেটা তোমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, (সহীহ  মুসলিম হাদিসঃ ১৩৩৭;) অন্য এক হাদীসে ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন হজ্জ ফরজ একবার । এরপরে আপনি যতবার আদায় করবেন সবগুলো আপনার নফল হজ্জ হিসাবে গন্য হবে । অন্য এক হাদীসে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন 

ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عنالعلمين

আল্লাহ তাআলা বলেন তোমাদের মধ্যে যারা বাইতুল্লাহ পৌঁছার সামর্থ্য রেখে তাদের আল্লাহর উদ্দেশ্য গিয়ে হজ করা ফরজ । আর আর কেউ যদি এ বিষয়ে অস্বীকার করে তাহলে তোমরা জেনে নিও সে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি জগতের মুখাপেক্ষী নয়।(মুসদানে আহমদ হাদিসঃ১৮৬৭)

অন্য একটি হাদিসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, হজ্জ আদায়ের ইচ্ছে করেছে সে যেন খুব দ্রুত হজ্জ আদায় করে কারণ সে যে কোন সময় অসুস্থ হয়ে যেতে অথবা অন্য যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে (মুসদানে আহমদ হাদিসঃ১৮৩৩)

١) وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَٰهِمُ ٱلْقَوَاعِدَ مِنَ ٱلْبَيْتِ وَإِسْمَٰعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ

(সূরা আল বাকারা ১২৫ নম্বর আয়াতে) বলা হয়েছে স্মরণ করো যখন ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কাবা ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছিল তারা দোয়া করেছিল আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কবুল করো নিশ্চয়ই তুমি শ্রবনকারী ও সর্বজ্ঞ।

(٢) إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلْمَرْوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ فَمَنْ حَجَّ ٱلْبَيْتَ أَوِ ٱعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَاۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ ٱللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

(সূরা আল বাকারা ১৫৮ নম্বর আয়াতে) বলা আছে নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম । তোমরা যারা কাবা ঘরে হজ বা ওমরা পালন করবে তাদের জন্য এই দুটি পালন করা আবশ্যক । তবে কেউ যদি সেচ্ছায় কিছু নেক কাজ করে তবে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই সেই নেক কাজের ফলস্বরূপ সঠিক মূল্য দিবেন।

(٣) وَأَتِمُّوا ٱلْحَجَّ وَٱلْعُمْرَةَ لِلَّهِۚ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا ٱسْتَيْسَرَ مِنَ ٱلْهَدْىِۖ وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّىٰ يَبْلُغَ ٱلْهَدْىُ مَحِلَّهُۥۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ بِهِۦٓ أَذًى مِّن رَّأْسِهِۦ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍۚ فَإِذَآ أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِٱلْعُمْرَةِ إِلَى ٱلْحَجِّ فَمَا ٱسْتَيْسَرَ مِنَ ٱلْهَدْىِۚ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَٰثَة   أَيَّامٍ فِى ٱلْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْۗ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌۗ ذَٰلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُۥ حَاضِرِى ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِۚ وَٱتَّقُوا ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَا 

(সূরা আল বাকারা ১৯৬ নম্বর আয়াতে) আল্লাহ তাআলা বলেন হজের উদ্দেশ্যে তোমরা পরিপূর্ণভাবে পালন কর । আর যদি তোমরা বাধাগ্রস্ত হও তাহলে কোরবানির জন্য যা কিছু সহজলভ্য তাই তোমাদের উপর ধার্য আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথামন্ডল করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা কুরবানি যথাস্থানে পৌছে যাবে । 

তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা তাদের মাথায় যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দিবে অথবা কুরবানী করবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ ও ওমরা একত্রে পালন করতে চাও তাহলে তোমাদের যা কিছু সহজলভ্যতা দিয়েই কুরবানী করআর তোমাদের কুরবানী করার জন্য পশু পাবে না তারা ৩ দিন রোজা রাখলে এবং হজ থেকে ফেরার পর ৭ দিন রোজা রাখতে হবে ।

হজ্জ না করার শাস্তি

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ হলো অন্যতম কেউ যদি প্রাপ্তবয়স্ক বিবেকবান ও সুস্থ হওয়ার পরেও পুরুষ এবং মহিলা জীবনে হজ একবার ফরজ। আর যে ব্যক্তি হজ ফরজ হওয়াকে অস্বীকার করবে এবং হজকে পুস্ত জ্ঞান মনে করবে তার শাস্তি হবে অন্যান্য এবাদত বর্জনকারী হবে। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে এবং অলসতার কারণে হজ না পালন করে তাহলে সে পাপী হবে।

আর সেই জন্য তাকে পরকালের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি কোন প্রকাশ্য প্রয়োজন বা অত্যাচারী শাসক কিংবা আবদ্ধ কারী অসুস্থতা বাধা দেয়নি না করে মারা গেল সে ইহুদিবাদ খ্রিস্টান হয়ে মারা যাক। আল্লাহ তা'আলা বলেন যে ব্যক্তির হজে যাওয়ার সামর্থ্য আছে যেসব ব্যক্তির উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে বাইতুল্লাহ হজ্ব করা ফরজ । আর যে ব্যক্তি তা অস্বীকার করে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা তার জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।

হজ্জের উদ্দেশ্য কী

হজের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমূত কে  বিশ্বাস করা । আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তাআলার একত্বকে বিশ্বাস করা  । হাজের উদ্দেশ্য হযরত ইব্রাহিমর একত্বকে শিখে আসো কাজগুলা এগুলো সব হযরত ইব্রাহিম আঃ এর অন্তর্ভুক্ত ইব্রাহিম আঃ তাওহীদ ও একাগ্রতা পন্থি । হযরত ইব্রাহীম আঃ ছিলেন হজের জন্য একটি নিদর্শন স্বরূপ 

 وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِيْنَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيْقٍ، لِيَشْهَدُوْا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوْا اسْمَ اللهِ فِيْ أَيَّامٍ مَعْلُوْمَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيْمَةِ الْأَنْعَامِ-

পবিত্র আল কুরাআনের (সূরা হজ্জের২২/২৭-২৮) কুরআনের সুর আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করেছেন ইব্রাহিম তুমি মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা প্রদান কর তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সকল প্রকার উটের উপর শাওয়ার হয়ে দূর দূরান্ত থেকে । যাতে তারা তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য সেখানে উপস্থিত হতে পারে এবং রিজিক হিসাবে তাদের দেওয়া গবাদি পশু জবাই করার সময় নির্দিষ্ট দিনগুলো তাদের উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে

বুখারী শরীফের একটি হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন

,بُنِىَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَحَجِّ الْبَيْتِ وَصَوْمِ رَمَضَانَ-

"অর্থাৎ ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। ও রিসালাতের সাক্ষ্য দেওয়া এই মর্মে যে আল্লাহ তা'আলা ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আল্লাহর রাসূল নামাজ কায়েম করো যাকাত প্রদান কর এবং পবিত্র মক্কা-মদিনায় হজ করো এবং রমজান মাসের রোজা পালন কর"

হজ্জের ফরজ কয়টি

এখন আমরা আলোচনা করব হজের ফরজ কয়টি সে বিষয়ে । তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক হজের ফরজ কয়টি। হজের মোট তিনটি ফরজ কাজ সেগুলো হলো
  • ইহরাম বাধা অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে হজের ফরজ নিয়ত করা
  •  ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা
  • তাওয়াফে যিয়ারত অর্থাৎ ১০ই জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত যে কোন দিন কাবা শরীফ তাওয়াফ করা ।

হজ্জের ওয়াজিব কয়টি

হজ পালনের জন্য হজের কিছু ওয়াজিব কাজ রয়েছে যেগুলো পালন না করলে হজ কখনোই সঠিক  পালন হবে না ওদের ওয়াজগুলো পালন করা জরুরী। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই হজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি ? হাজের ওয়াজিব কাজ হল ৬ টি সেগুলো হলোঃ
  • সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাত বার ছোটাছুটি করা ।
  • নির্ধারিত সময়েসুবহে সাদেক থেকে সূর্য উদয় পর্যন্ত এক মুহূর্তের জন্য হলেও মিনায় অবস্থান করা।
  • মিনাই ৩ শয়তান সমূহকে পাথরের নিক্ষেপ করা
  • হজে তামাত্তু ও কিবরান কারীরা হজ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
  • ইহরাম খোলার পূর্বে মাথা মন্ডল করা।
  • মক্কার বাহিরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায় কালে তাওয়াফ  করা ।

হজ্জের ফরজ হাওয়ার শর্ত কয়টি

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন হজ ফরজ হওয়ার শর্ত পাঁচটি । কাদের উপর হজ ফরজ আমরা এখন সেই বিষয়ে আলোচনা করব। আজকে আর্টিকেলটি পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন হজ কাজের উপর ফরজ। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক হজ কাদের উপরে ফরজ ।
  • ফরজ হওয়ার প্রথম শর্ত হলো তাকে মুসলমান হতে হবে
  • দ্বিতীয় শর্ত হলো তাকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে
  •  বোধ সম্পন্ন অর্থাৎ জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে
  •  স্বাধীন হতে হবে
  • দৈহিক ও আর্থিক সামর্থ্যবান হতে হবে

হজ্জের রুকন কয়টি

আপনারা হয়তো সকলেই জানেন না হজের রুকন কয়টি ও এবং হজের রুকন গুলো কখন পালন করতে হয়। তাহলে আজকের পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করব হজের রুকুন কয়টি এবং হজে রোকন গুলো কখন পালন করতে হয়।
  • ইহরাম বাধা অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে হজের ফরজ নিয়ত করা
  •  আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা
  • তাওয়াফে যিয়ারত অর্থাৎ ১০ই জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত যে কোন দিন কাবা শরীফ তাওয়াফ করা ।
  • সাহী করা অর্থাৎ সাফা পাহাড় থেকে মারওয়া পাহাড়ে যাওয়া এইটা একটা সাহী এইভাবে সাতবার যাওয়া আশা করা 

হজ্জের মিকাত কয়টি

আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করব হজ্জের মিকাত কি এবং হজ্জের মিকাত কয়টি । কখন কিভাবে হজের মিকাত পালন করতে হয় । সে বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব আপনি যদি আজকের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে করেন তাহলে আপনিও বুঝতে পারবেন হজের মিকাত কয়টি ও হজের মিকাত কখন পালন করতে হয় ।

হজ্জের মিকা হল যখন কোন মুসলমান হজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফে যায় হেরেম শহরে প্রবেশ করার পূর্বে ওই ব্যক্তিকে ইহরামের কাপড় পরিধান করতে হয় সেই স্থানকে বলা হয় হজ্জের মিকাত । হজ্জের মিকাত পাঁচটি নিচে সে বিষয়ে আলোচনা করা হল
  • যুল হুলায়ফা  (মদিনা বাসীদের মিকাত)
  • জুহফা (সিরিয়া বাসীদের মিকাত)
  • কারনুল মানাযিলা (নজদ বাসীদের মিকাত)
  • যাতে ইরাক (ইরাক বাসীদের মিকাত)
  • ইয়া লাম লাম (ইয়ামেন বাসীদের মিকাত) অর্থাৎ বাংলাদেশ,ভারত ,পাকিস্তানের মিকাত 
এছাড়াও আরো দুটি প্রসিদ্ধ মিকাত  রয়েছে । সব মিলিয়ে হজ্জের মিকাত হলো সাতটি
  • হিল(মক্কার বহিরাগতদের জন্য) অর্থাৎ মক্কা শরীফের বাহিরে মুসল্মান মক্কা শরীফে হজ করার মিকাতকে হিল মেকাত বলে
  • মক্কা বাসীদের জন্য হজেরমিকাত হল হীরেম শরীফ

মহিলাদের হজ্জ ফরজ হাওয়ার শর্ত

প্রত্যেকটা মুসলিম নারীদেরও পুরুষদের মতো হজ ফরজ হয়ে থাকে । নারীদের হজ্জ ফরজ হওয়ার জন্য তিনটি  শর্ত রয়েছে সেগুলো হলঃ
  • শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে
  • মাহারাম সাথে থাকতে হবে (১৪ জন মাহারাম সাথে থাকতে হবে ) 

হজ্জে মহিলাদের পর্দা

পুরুষ হজ্জ ও ওমরা পালনকারী দুইটি সেলাই বিহীন সাদা পোশাক পড়েন এটিকে ইহারাম বলা হয়। আর নারীরা নিজেদের স্বাভাবিক পোশাক পড়েন। নারীর জন্যই নিজের স্বাভাবিক পোশাকি হলো ইহরাম ।পোশাকেই বলা হয় কি হারাম উন্মেল মুমিনীন মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বলেন নারীরা ইহরাম অবস্থায় নিজ রুচিমাফিক পোশাক পরিধান করতে পারে না (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা হাদিস নংঃ১৪৪৩) ।নারীরা ইহারাম অবস্থায় জুতা মোজা ব্যবহার করতে অসুবিধা নেই শরীয়তে এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন।

আব্দুল ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু নারীদের কি ঘেরাম অবস্থায় চামড়ার মজা এবং পাজামা পরার অনুমতি দিতেন তিনি বললেন সাফিয়া (রাঃ) চামড়ার মোজা পরিধান করতেন যা ছিল তার হাটু পর্যন্ত(মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা হাদিস নংঃ১৫৯৬৯)। অন্য এক হাদীসে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) তা'আলা আনহু বলেন অবস্থায় হাত-পা এবং পা মোজা পড়তে পারবেন।(মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা হাদিস নংঃ১৪৪৪০)

ইহরাম অবস্থায় হলেও নারীদের জন্য পুরুষের সমান চেহারাগুলো নিষেধ। তাই এই অবস্থায় এমন হয়েছে রাখা জরুরী যাতে মুখমন্ডলের সঙ্গে কাপড় লেগে না থাকে এখন এক ধরনের ক্যাপ পাওয়া যায় যা পরিধান করলে তার সাইজের চেহারার পর্দা রক্ষা করা যায়। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রাঃ) বলেন আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সঙ্গে হজের ইহরাম অবস্থায় ছিলাম।

হাজীদের কাফেলা যখন আমাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করতো তখন আমরা মাথা থেকে চেহারার উপর চাঁদের ঝুলিয়ে দিতাম যখন তারা আমাদের অতিক্রম করে চলে যেত তখন চাদর সরিয়ে ফেলতাম (আবু দাউদ খন্ড ১ পৃষ্ঠা ২৫৪)মুসলিম উম্মার সব নারীদের হজ ও ওমরা পালনের সময় ইহরামের পোশাক পরিধান এবং পর্দা পালনের উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যত্নবান হওয়া জরুরী ।

মহিলারা কাদের সাথে হজ্জে  যেতে পারবে

নারীদের হজে যাওয়ার জন্য মাহরাম ছাড়া নারীদের হজ ফরজ নয় কারণ নারীদের একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব চাইতে হলে তাদের মাহরাম থাকা প্রয়োজন । কারণ একজন নারী যেকোনো সময় অসুস্থ হতে পারে সেজন্য তাকে দেখাশোনা করার জন্য এমন একজন থাকা প্রয়োজন যেটা দেখাশোনা করতে পারে যেমন তার স্বামী তার বাবা তার আপন ভাই । একজন নারীর মহারাম ছাড়া হজ করা কিংবা কোন স্থানে ভ্রমণ করা এটা ইসলাম গ্রহণ করে না ।

২০২৩ সালে হজ্জের সম্পর্কে বিস্তারিত 

২০২৩ সালের হজ পালন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো হল গত ০৯.০১.২০২৩ তারিখে সৌদি আরব সরকারের সাথে সরকারের মধ্যে দীপঙ্কর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় সে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবে এক লক্ষ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এরমধ্যে সরকারিভাবে হজ পালন করতে পারবে.১৫০০০জন মানুষ। আর বেসরকারিভাবে হজ পালন করতে পারবে , ১, ১২,১৯৮ জন হজ যাত্রী। ২০২৩ সালের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজের প্যাকেজ মূল্য হল ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ।

হজের গুরুত্ব এবং হজের ফরজ ওয়াজিব কয়টি এ সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন হজের কোন কোন কাজগুলো করা লাগে । এবং হজের কোন কোন কাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আজকের পোস্ট পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন এবং কোথাও কোন যদি ভুল থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে বলবেন । পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url