গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় বিস্তারিত জানুন।
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানেন না গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়। তাই আপনার যদি জানতে চান যে গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনিও জানতে পারবেন গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় সে বিষয়ে। গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় বিস্তারিত জানুন।
- গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়
- গর্ভপাতের পর কি খাওয়া উচিত
- গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন
- গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয়
- গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে করণীয়
- গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস করা যায়
- গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
- লেখকের শেষ কথা
গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় সে বিষয়ে
বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়।
আরো পড়ুনঃসিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়
ইউটেনার মিসক্যারেজের ফলে একটি গর্ভপাত নারীর গর্ভপাতের পরে পেটের
ব্যথা ও রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। গর্ভপাতের পর সাধারণত রক্তক্ষরণ দুই সপ্তাহ বা ১৪
দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে রক্তক্ষরণের ধরন একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে।
আবার বয়স ভেদেও রক্ত পাত ভিন্ন হয়ে থাকে। গর্ভপাতের পর রক্তক্ষরণ অনেক সময়
মাসিক চক্রের মত রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে যেটা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে থাকে।
রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কমাতে ডাক্তারেরা প্যাড ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কারণ হলো
পেটের মতো অন্য কোন কিছু ব্যবহারে স্বাস্থ্যকর নয়। গর্ভপাতের পর যদি
আপনার ১ ঘন্টায় একটির বেশি প্যাড ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিন। তবে আপনার যদি রক্তক্ষরণের মাত্রা বেশি হয়
তাহলে সার্জারি করতে হবে অথবা রক্ত দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে একটা
জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে গর্ভপাতের দুই সপ্তাহ অর্থাৎ ১৪ দিনের বেশি যদি
রক্তক্ষরণ হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে গর্ভপাতের পর কতদিন
রক্তপাত হয় সে বিষয়ে। আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি বুঝতে না পারেন তাহলে
আরেকটি বার মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন গর্ভপাতের পর
কতদিন রক্তপাত হয় সে বিষয়ে।
গর্ভপাতের পর কি খাওয়া উচিত
আমাদের সকলের জানা থাকা দরকার যে গর্ভপাতের পর কি খাওয়া উচিত ।আমাএর মধ্যে
অনেকে আছে যারা জানে না যে গর্ভপাতের পর কি খাওয়া উচিত সে বিষয়ে আজকের
আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে ।গর্ভপাতের পর যেহুতু মেয়েদের শরীর অসুস্থ
থাকে সেই স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা তাদের শরীরের জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হলো রোগ নিরাময় এবং নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুলি।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভপাতের পর কি কি খাবার খাওয়া উচিত সে
বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা থাকা উচিত।
- আয়রন সবৃদ্ধ খাবার
- ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
- ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
- বাদাম
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ।
- বিভিন্ন রঙ্গিন ফলমূল শাক সবজী
আপনি যদি গর্ভপাতের পর কি কি খবার খাওয়া উচিত জানতে চান তাহলে আপনি উপরে
উল্লেখিত খাবারগুলো গ্রহন করতে পারেন।উপরে উল্লেখিত খাবারগুলো গ্রহন করলে
গর্ভপাতের পর আপনার শরীর সুস্থ থাকবে।
গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন
অনেক সময় দেখা যাই গর্ভবস্থায় নারীদের যৌনি পথ দিয়র রক্ত বের হয়।আবার খুব
অল্প ক্ষতে সুনা গেছে যে গর্ভবতী মহিলাদের মাসিকের মতো থেমে থেমে রক্ত প্রবাহ দেখা যায়।
আমাদের ভালো করে একটা বিসর্জনের রাখা উচিত যে গর্ভাবস্থায় যোনি থেকে যে
রক্ত বের হয় সেটা কখনোই মাসিক না অন্য কিছু। তাহলে চলুন জেনে নেয়া
যাক গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন? এ বিষয়ে।
আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে তখন আপনার শরীরের পক্ষে স্বাভাবিক ঋতুর চক্র
শুরু হওয়া সম্ভব নয়। গর্ভধারণ হয়েছে কিনা সেটি বুঝতে বেশির ভাগ
মহিলারা নির্ভর করেন পিরিয়ডের ওপর। পিরিয়ড না হলে ভয় হলে নয়
ব্যাপারটি কিন্তু অতটাও সহজ নয়। নিয়মিত যৌন সম্পর্ক রয়েছে অথচ পিল
খায় না এমন মেয়েদের অনেকের সময় অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। একটা
প্রচলিত ধারণা রয়ে গেছে যে পিরিয়ডের ঠিক সময় যদি হয় তবে গর্ভধারণ হয়নি
এবং গর্ভধারণের কারন এটি একটি চিন্তার বিষয়।
আরো পড়ুনঃসিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়
সচরাচর পিরিয়ড মিস হলে তারপরে মেয়েরা প্রেগনেন্সি কিট কিনে পরীক্ষা করে বা
ইউরিন টেস্ট করে। প্রেগনেন্সি অবন্তিত হলে তারপর গর্ভপাতের জন্য চিকিৎসকের
সাহায্য নেয়। কিন্তু অনেকেই জানেনা যে পিরিয়ড হওয়ার মানে প্রেগনেন্সি নেই
এমন ধারণাটি ভুল। প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাস যাকে ফার্স্ট
ট্রাইমেস্টার বলে, সেই পর্যায়ে পিরিয়ড চালু থাকতে পারে। তবে ২৫ শতাংশ
গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে এ বিষয়টি দেখা যায়।
এটি স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া হয় কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তা চিন্তার
বিষয়।এক্ষেত্রে মিসক্যারেজের আশঙ্কা থাকে। তাই অন্তঃসত্ত্ব হয়ে পড়া
চিন্তায় যারা থাকেন এবং প্রতি মাসে পিরিয়ডের
দেখে যারা নিশ্চিত হন তাদের এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরী। প্রতিমাসের নির্দিষ্ট
সময়ে প্রেগনেন্সি কিট কিনে পরীক্ষা করে নেয়াই ভালো।
গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয়
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা জানেন না যে গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু
বের হয়। আপনিও যদি না জেনে থাকেন যে গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের
হয় তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের আর্টিকেলে
আলোচনা করা হবে গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয় সে বিষয়ে।
গর্ভপাতের পর সাধারণত তিন মাস পর থেকে মেয়েদের ডিম্বানু আসা শুরু করে। প্রথম
গর্ভপাতের পর আপনি যদি পুনরায় আবার বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে
আপনাকে গর্ভপাতের পর।৩ মাস অর্থাৎ ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ হলো
গর্ভপাতের ৯০ দিন পর মেয়েদের শরীরে নতুন করে ডিম্বানু আসতে শুরু করে। কিন্তু
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে একজন নারীর গর্ভপাতের এক বছর পর গর্ভধারণ করা উচিত যার
ফলে শরীর ভালো থাকে।
আপনারা যারা প্রথম বাচ্চা নেয়ার পর পুনরায় আবার বাচ্চা নেয়ার কথা
ভাবছেন তারা চিন্তা করছেন যে গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয়। কারণ
তারা চিন্তা করছেন আর একটা বাচ্চা নেওয়ার জন্য।মেয়েদের গর্ভপাতের পর
ডিম্বাণু বের হওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে
গর্ভপাতের এক মাস পর অথবা কারো কারো ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগতে পারে
ডিম্বানু আসতে।
গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে করণীয়
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে
করণীয় কি এই বিষয়ে। গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে করণীয় কি সেটা নিয়ে অনেক
চিন্তার বিষয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে
করণীয় কি এই বিষয়ে। আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে
পারবেন গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে করণীয় কি সে বিষয়ে। তাহলে চলুন দেরি
না করে জেনে নেয়া যাক গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে করণীয় কি সে বিষয়ে।
গর্ভপাতের পর অনেকের মাসিক হতে দেরি হয় যার জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই।
একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন সে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে। যার
ফলে গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে অনেকেই চিন্তায় থাকেন। গর্ভপাতের একমাস
অথবা দুই মাস এর মধ্যে যদি কারো মাসিক শুরু না হয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ
নেই। কিন্তু তারও বেশি সময় ধরে যদি মাসিক না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ
নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে করণীয় কি আপনারা হয়তো বুঝতে পারছেন। গর্ভপাতের
পর মাসিক না হলে বেশি বিচলিত না হয়ে অপেক্ষা করুন কারণ এই সময় আপনার শরীর
দুর্বল থাকে। এ সময় শরীর দুর্বল থাকে সেজন্য শরীরের যত্ন নিতে হবে এবং
পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে । তারপরও যদি মাসিক না হয় তাহলে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং ওষুধ সেবন করতে হবে।
গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস করা যায়
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা জানে না যে গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস
করা যায়। গর্ভপাত একটা মেয়ের জন্য ঝুকির একটা সময়। গর্ভপাতের পর মেয়েদের
শরীর অসুস্থ হয়ে থাকে এবং দূর্বল হয়ে থাকে ।আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো
গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস করা যায় সেই বিষয়ে ।আপনারাআ যারা জানতে চান
যে গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস করা যায় তারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন ।
গর্ভপাতের সময় মেয়ের শরীর থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তক্ষরন হয় যার ফলে
তারা স্বাভাবিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে ।তাই মেয়েদের শরীর স্বাভাবিক ভাবে
সুস্থ না হাওয়া পর্যন্ত সহবাস করা করা ঠিক না।সাধারনত বলা হয়ে থাকে যে
গর্ভপাতের পর ৩০ দিন অথবা ১ মাসের বেশি সময় পর সহবাস করা উচিত।আবার গবেষকদের
মতে মেয়েদের প্রথম ঋতুচক্র শেষ হাওয়ার পর সহবাস করা উচিত যার ফলে
মেয়েদের শরীর ঠিক থাকে। আর সহবার করা পুরোটা নির্ভর করে মেয়েদের শারীরিক
সুস্থতার ওপর ।
তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস করা যায় ।আর
আপনারা যদি না বুঝে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আবার মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।মেয়েরা যখন বুঝতে পারে যে যখন সহবাস করলে তার কোন সমস্যা হবে না তখন
তিনি সহবাস করতে পারবে।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী হওয়ার কিছু প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে।
সাধারণত মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ৬০ ভাগ মহিলাদের গর্ভধারণের
লক্ষণ দেখা দেয়। এবং আট সপ্তাহের পরে ৯০% মহিলারা গর্ভধারণের লক্ষণ প্রকাশ
পায়। আপনি যদি নিয়মিত মাসিকের তারিখ ঠিক মনে না রাখেন কিংবা কখন আপনার মাসিক
হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটি যদি আপনি ভুলে যান তাহলে আমাদের আর্টিকেলে উল্লেখিত যে
কোন একটি উপসর্গ দেখা দিলে আপনি বুঝবেন আপনার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ
পাচ্ছে।
- গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ও তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষণ হল পিরিয়ড বা ঋতুচাপ বন্ধ হওয়া। প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময় নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে সাধারণত ২৮ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন আপনার প্রিয় ঠিক সময় হচ্ছে কিনা যদি ২৮ থেকে ৩২ দিনে পিরিয়ড না হয় তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছে।
- তাছাড়া অন্যান্য লক্ষণ গুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন তার সাথে প্রেগনেন্সি কি দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন বা ইউরিন টেস্ট করতে পারেন।
- কোন নারীর যদি আগে থেকেই অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে তবে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের এই লক্ষণটি বোঝা একটু কষ্ট কর। যদি আপনার পিরিয়ড নিয়মিত না হয় অথবা আপনি আপনার চকলেট হিসেবে ঠিক মত রাখতে না পারেন, তবে আপনার পিরিয়ড নিউজ হয়েছে কিনা তা বুঝতে পারার পূর্বেই বমি ভাব বুকের স্পর্শ কাতরতা এবং ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া ইত্যাদি গর্ভধারণের লক্ষণ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃসহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে
- খাবারের অনীহাঃ আপনি যদি নতুন গর্ভবতী হন এটা অস্বাভাবিক নয় যে কিছু কিছু খাবারের প্রতি আপনার অনিয়বোধ করলে কিংবা আপনার রুচি কমে যাবে। এ সময় আপনি বিভিন্ন খাবার গ্রহণের সময় খাবারের ব্যাপারে গন্ধ পবন ও হয়ে উঠতে পারেন। যদিও এর কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি এটা হয়তো আপনার দেহের দ্রুত ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধির একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- এছাড়াও আপনি দেখতে পাবেন যে যে সকল খাদ্য যা আপনি মজা করে খেতেন তা হঠাৎ করে আপনার কাছে একেবারে অসহ্য লাগছে।
- আবার অনেক সময় মুখে বিষাদ লাগে কিংবা মুখের তামাটে ধরনের স্বাদ লাগে।
- আবার অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ লক্ষ্য করা যায়।
- গর্ভাবস্থায় মেজাজের পরিবর্তন একটি সাধারণ বিষয়। আংশিকভাবে এর কারণ হরমোন পরিবর্তন যা আপনার নিউরোট্রসমিটারের মাত্রাকে প্রভাবিত করে।
- হরমোন আধিক্যর জেরে এ রাগ,এই দুঃখ , কখনো অবসাদ , আবার কখনো মুহূর্তেই আনন্দ ভরে ওঠে এ ধরনের মুড সুইং হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয় তার মধ্যে এটি অন্যতম
- পেটে গ্যাস হওয়াঃ গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে অধিকাংশ পেটে গ্যাস তৈরি হয় এবং তা নির্গত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও পেট ফাঁপা অনুভূতি হতে পারে যা অনেকটা মাসিক শুরু পূর্বের লক্ষণের মত। এটি হয় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- গর্ব অবস্থায় কারণে কোমরের কাছে আপনার কাপড় সাধারণ সময় চেয়ে আরো বেশি আর্ট শট মনে হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত আপনার জরায়ুতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
- হরমোনগত পরিবর্তনের কারণে এই সময় শরীরে যে কয়টি পরিবর্তন আসে তার একটি হল রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি।
- হরমোন পরিবর্তনের কারনে আপনার দেহের কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দূরত্ব যা আপনি কিডনিতে রক্ত প্রবাহের হার বৃদ্ধি পায়।
- হরমোন পরিবর্তনের কারণে আপনার মূত্রথলী আরও দূরত্ব পূর্ণ হয়ে যায় যার ফলে আপনার আরও বেশি বার মূত্র ত্যাগ করতে হয়। প্রেগনেন্সির প্রথম ২ দিন সপ্তাহে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার খুব স্বাভাবিক।
- যতই আপনার গর্ভ অবস্থায় এগিয়ে যেতে থাকে সমস্যাটি আরো জটিল হতে থাকে। যখন আপনার ক্রমবৃদ্ধিমান শিশু আপনার মুত্রথলিতে আরো বেশি চাপ দিতে থাকে।
- ক্লান্ত লাগাঃ হঠাৎ করে ক্লান্ত বোধ করছেন? কিংবা ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পড়ছেন। কেউ এটা নিশ্চিত করে জানে না যে কি কারনে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে এই ক্লান্তভাবে দেখা দেয়। তবে সম্ভবত প্রোজেস্টরের হরমোনের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি আপনার ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দায়ী। তাছাড়াও মর্নিং ফিটনেস ও রাতে ঘুম থেকে ওঠার পরে বারবার প্রসাব করাও আপনার ক্লান্তি বোধ বাড়াতে কাজ করে।
- স্তনের পরিবর্তনঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম দিকে একটি লক্ষণ হল সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর যা স্তন যা হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে। অনেক সময় মাসিক শুরুর পূর্বে অনেকের এক ধরনের স্পর্শকাতরতা কিংবা ব্যাথা হয়ে থাকে । গর্ভাবস্থায় এরকম কিংবা আরো প্রকটভাবে উপসর্গ অনুভব হতে পারে।
- হালকা রক্তপাতঃ কিছু কিছু নারীর গর্ভবতী কিনা তা জানার আগে হালকা স্পর্টিং লক্ষ্য করে থাকেন। অনেকের এটাকে মাসিক মনে করে থাকেন।
- এটা এভুলেশনের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে। এটাকে ইনপ্লান্টেশন ব্লিডিং বলে। কারণ যারা ওকে ভুল উপস্থিত বা ইমপ্লেনটেশনের সময় এই রক্তপাত হতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় ডিম্বাণু নিষিদ্ধ হওয়ার ৬ দিনের মধ্যে শুরু হয়। এটা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
- বমি বমি ভাবঃ কনসিভ করার দুই থেকে চার সপ্তাহ পর থেকে মর্নিং সিকনেস স বা বমি বমি ভাব দেখা দেয়। বমি বমি ভাব শুধু সকালেই নয় এমনি কে দুপুর এবং রাতে যে কোন সময় হতে পারে। গর্ভধারণের ছয় স্বপক্ষা থেকে সাধারণত মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব দেখা দেয় তাই এটাকে কখনো ৪ সপ্তাহ থেকেও শুরু হতে পারে।
- শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিঃ যদি আপনি আপনার দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং দেখেন যে আপনার দেহের তাপমাত্রা অত্যন্ত ১৮ দিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আছে তবে তা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
- মাথা ধরাঃ গর্ভধারণ করলে মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের শুরুতে মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্যঃএটি হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে হয়। হর মনের বৃদ্ধির কারণে শরীরে হজম প্রক্রিয়ার গতি কমে যায় যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
- গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর আপনি বাসায় বসে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিতে পারেন
লেখকের শেষকথা ঃগর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত
হয় সে বিষয়ে। আপনাদের হয়তো অনেকেরই ধারণা ছিল না যে গর্ভপাতের পর কতদিন
রক্তপাত হয় সে বিষয়ে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে এতক্ষনে আপনারা বুঝে গেছেন
গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত সে বিষয়ে । আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো
লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আর আপনার প্রিয়জনদের সাথে
শেয়ার করতে ভুলবেন না।
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url