নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায়

প্রিয় পাঠক আজকে আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব নাভি দেখে সন্তান বোঝার উপায় সম্পর্কে। আমাদের সকলেরই নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই চলুন দেরি না করে নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।


আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা নাভি দেখে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা আমরা ঘরোয়াভাবে জানতে পারি সেজন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

নাভি চুলকায় কেন

নাভি চুলকানোর মূল কারণ হতে পারে নাভিতে ময়লা জমে থাকার কারণে নাভি চুলকাতে পারে। শরীরে যে কোন চুলকানি সব সময় একটি সতর্ক চিহ্ন হবে । কারণ এটি যে কোন  ধরনের সংক্রম নির্দেশ করতে পারে। আমাদের নাভিতে স্বাভাবিক পতনের ফলে সৃষ্ট তাল যার জন্মের পরে কেবল একটি দাগ। আমাদের শরীরে সব সময় যত্ন নিতে হয় যাতে ময়লা জমে না থাকে কারণ ময়লা জমে থাকলে শরীরে চুলকানি হতে পারে। নাভিতে চুলকানির প্রধান কারণ গুলো হল শরীরের যত্ন না নেওয়ার কারণে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া অন্যান্য জীবাণুর কারণে নাভিতে চুলকানি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় নাভি কালো হয় কেন

আজকের আর্টিকেলে আমারা আলোচনা করবো গর্ভাবস্থায় নাভি কালো হয় কেন সেই বিষয়ে ।গর্ভাবস্থায় নাভি কালো হয় কেন এই বিষয়ে আমাদের অনেকের অজানা।সেই জন্য আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো গর্ভাবস্থায় নাভি কালো হয় কেন সেই বিষয়ে।গর্ভবস্থায় মায়েরা হয়তো অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকবেন যে প্রেগনেন্সির সময় কালো গাড়ো একটি লাইন যা নাভি থেকে সোজা উপরের দিকে এবং নিচের দিকে থাকে। 


আজকের আর্টিকেলে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব যে গর্ভাবস্থায় নাভি কালো হয় কেন সে বিষয়ে। আমাদের সবার নাভির নিচেই এই কালো দাগ থাকে কিন্তু ত্বকের উজ্জ্বলতার কারণে দেখা যায় না। কিন্তু যখন একজন মা গর্ভবতী হয় তখন তার বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তন হয় সে কারণে গর্ভাবস্থায় নাভি কালো হয়ে যায়। এই কালো চিহ্ন কে বলে লিনিয়া নেগরা বা গর্ভস্থ রেখা। গর্ভবতী মহিলার যখন চার থেকে পাঁচ মাস হয় তখন তার শরীরে মেনালিনের মাত্রা বেড়ে যায় সেজন্য তখন এই দাগটি বেশি কালো দেখায় এবং বোঝা যায়। 

এই দাগ টি দেখে বোঝা যায় গর্ভে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে। যদি নাভি থেকে নিচের দিকে এই ডাকটি যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে ছেলে সন্তান হবে এবং পাজর থেকে যদি দাবি নিষ্পেষণ যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে মেয়ে সন্তান হবে। আসলে এই কথাটি যে 100% সত্যি সেটার কোন ভিত্তি নেই এটা অনুমান করা হয় তাহলে আপনারা ভুলতে পারলেন গর্ভ অবস্থায় নারীর কেন কালো হয় সে বিষয়ে।

নাভি কেমন হলে ছেলে হয়

আপনারা অনেকে রয়েছেন যারা জানেন না যে নাভি কেমন হলে ছেলে সন্তান হয়। আপনারা যারা জানেন না যে নাভি কেমন হলে ছেলে সন্তান হয় আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক নাভি কেমন হলে ছেলে সন্তান হয় সে বিষয়ে। আপনারা যারা নাভি দেখে কি সন্তান হবে তা জানার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য বলে রাখছি এইটা বৈজ্ঞানিক কোন তথ্য নয়, এটি গ্রাম বাংলার মা দাদিদের থেকে নেওয়া তথ্য।

আরো পড়ুনঃছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে একজন গর্ভবতী নারী সাত মাস থেকে নয় মাসের মধ্যে তার নাভির পরিবর্তন হয়ে থাকে আর নাভির পরিবর্তন দেখেই বোঝা যায় গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে সে বিষয়টা। আপনাদের অনেকের মনের প্রশ্ন থেকেই আমাদের এই আজকের আর্টিকেলটি নাভি দেখে সন্তান বোঝার উপায়।

  • নাভি যদি ফুলের মত বাহিরের দিকে চলে আসে তাহলে অনুমান করা হয় ছেলে সন্তান হবে
  • গর্ভস্থায় নয় মাসে যদি আপনি অনুমান করেন যে আপনার পেটের ভার সামনের দিকে তাহলে বুঝে নেবেন।
  • অনুমান করা হয় গর্ভাবস্থায় যদি পেটের ভার যদি নিচের দিকে হয় তাহলে ছেলে হয়
  • পেট যদি বাস্কেট বলের মতো দেখা যায় তাহলে অনুমান করা হয় ছেলে সন্তান হবে।

গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যথা হওয়ার কারণ

গর্ভকালীন সময়ে জরায়ুতে বেড়ে ওঠার সন্তানের কারণে মায়ের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীরে দুই ধরনের পরিবর্তন দেখা যায় অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক। এই সময় মায়ের শরীরে নাভিতে ব্যথা অভ্যন্তরীণ কারণে হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় নাভিতে এবং তার চারপাশে ব্যথা অনুভব করতে পারে।

প্রেগনেন্সিতে অনেক সময় মায়েরা নাভিতে ব্যথা অনুভব করে। বেশিরভাগ মায়েদের ক্ষেত্রে এ ব্যথা মৃদু হয় এবং ভয়ের কারণ থাকে না। তবে কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যাথা ডাক্তার পরামর্শ নেয়া উচিত গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যথা হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃম দিয়ে দুই অক্ষরের মেয়েদের আধুনিক

পেটের চামড়া ও পেশি প্রসারিত হওয়াঃ গর্ভাবস্থায় বর্ধিত ভুনের আকারের সাথে সাথে মায়ের পেটের চামড়াও পেশি প্রসারিত হতে থাকে। গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে তা অনেক বেশি প্রসারিত অবস্থায় থাকে। এ সময় এই প্রসারণের কারণে মায়ের নাভিতে ব্যথা হতে পারে। এর সাথে সাথে স্টেসমার্ক ও চুলকানির উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেহেতু নবী এইসব প্রসারণের একবারে কেন্দ্রে অবস্থান করে তাই তাতে চাপ বেশি পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে।

জরায়ুর চাপঃ প্রথমে ট্রাইমেস্টারে মায়ের জরায়ু অনেক ছোট থাকে এবং পেলভিসের ভিতরে অবস্থান করে। যারা বড় হওয়ার সাথে সাথে তা পেলভিসের বাইরে চলে আসে এবং পেটের বাইরের দিকে চাপ দিতে থাকে। এসময় মায়েদের পেটের বর্ধিত আকার কিছুটা বোঝা যেতে থাকে। মায়ের শরীরের ভেতরে থেকে চাপ মায়ের পেটে এবং নাভিতে পরে।

তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে শুরু হতে হতে মায়ের জরায় পেলভিস থেকে বের হয়ে মায়ের নাভির পিছনে চলে আসে। এবং জড়াও তার ভেতরে থাকা ভুল ও অ্যামনিওটিক ফ্লাইড সহ সামনের দিকে চাপ দিতে থাকে। এ সময় অনেক মেয়েদের নাভি বাইরের দিকে বেরিয়ে আসতে পারে। এতে নাভির সাথে পর্নের কাপড় নিয়মিত ঘর্ষণ হতে থাকে। এসব কারণে মায়েদের নাভিতে এবং আশেপাশে জায়গা অস্তিত্ব অনুভব হতে পারে।

নাভির হার্নিয়াঃ নাভির হার্নিয়া হতে পারে যদি পেটের ভেতরে দিক থেকে অতিরিক্ত চাপ থাকে। যাদের গর্ভে জমজ সন্তান থাকে বা যাদের ওজন বেশি থাকে তাদের ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নাভির হার্নিয়া হলে নাভিতে ব্যথার সাথে সাথে নাভীর চারপাশে ফুলে যাওয়া , বমি বমি ভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।যদি এসব লক্ষণ দেখা দেয় তবে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে না হলে পরবর্তীতে আরো মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

আরো পড়ুনঃকোন দোয়া পড়লে টাকা আসে

অন্ত্রের সংক্রমণঃ এই কারণগুলো ছাড়াও অন্তের কোনো সংক্রমণের কারণেও গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের সংক্রমণের লক্ষণগুলো হল-পেটে এবং নাভির আশেপাশে তীক্ষ্ণ ব্যথা , বমি বমি ভাব ডায়রিয়া, জ্বর ইত্যাদি। নাভিতে ব্যথার সাথে সাথে এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। 

প্রিয় পাঠক আমরা এতক্ষন আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলাম গর্ভাবস্থায় নাভিতে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে এ বিষয়ে ধারণা ছিল না আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের সমস্ত ধারণা হয়ে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url