গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া বোঝার উপায় সম্পর্কে । আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় বোঝার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নিন  গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায়।

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় জেনে নিন

আমরা অনেকেই রয়েছি যারা ঘরোয়াভাবে পরীক্ষা করার চেষ্টা করি গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে জানার জন্য। আপনারা যারা ঘরোয়া ভাবে আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সেই সকল অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায়

আজকে আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটা হচ্ছে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় বোঝার উপায় সম্পর্কে ।তাছাড়া আরো আরো আলোচনা করবো নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় সম্পর্কে ।আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা নাভি দেখে বুঝার চেষ্টা করেন কি সন্তান হবে সেই বিষয়ে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভের সন্ধান ছেলে না মেয়ে হবে ঘরোয়া পরীক্ষায় জেনে নেয়া যাক।


আপনারা যারা নাভি দেখে কি সন্তান হবে বোঝার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য বলে রাখছি যে এই তথ্যটি আংশিক বৈজ্ঞানিক এবং আংশিক গ্রামের মা এবং দাদিদের থেকে নেওয়া তথ্য। সাধারণত একজন গর্ভবতী মহিলার নাভির পরিবর্তন হতে থাকে সাত মাস থেকে অনেকের আবার নয় মাসের শুরুতে অথবা নয় মাসের শেষের দিকে পরিবর্তন হয়ে থাকে। নাভি দেখে বলে দেওয়া সম্ভব গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে।

  • নাভি যদি ফুলে বাহিরের দিকে চলে আসে তাহলে অনুমান করা হয় ছেলে সন্তান হবে। অপরদিকে নাভি যদি ভেতরের দিকে ঢুকে যায় তাহলে অনুমান করা হয় মেয়ে সন্তান হবে।
  • নাভির বিভিন্ন শেপ দেখে আমরা বুঝতে পারি কি সন্তান হবে। নাভি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে বা গর্ভাবস্থার পূর্বে যেমন ছিল তেমন থাকলে মেয়ে সন্তান হবে। নাভি ফুলের মত বাহিরে বের হয়ে থাকলে মেয়ে সন্তান হবে।অনেক সময় দেখা যায় নাভি ফুলের মত বাহিরে বের হলে ছেলে সন্তান হয়। 
  • গর্ভাবস্থায় ৯ মাসের দিকে আপনি যদি অনুমান করেন যে আপনার পেটের ভার সামনের দিকে তাহলে অনুমান করা হয় আপনার ছেলে সন্তান হবে। আর যাদের পেট জুড়ে ভার অনুভব করে তাহলে তাদের মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • গর্ভবতীর পেটের ভার যদি নিচের দিকে থাকে তাহলে অনুমান করা হয় হবে পুত্র সন্তান হবে। আর গর্ভবতীর ভুড়ি যদি উপরের দিকে থাকে তাহলে অনুমান করা হয় মেয়ে সন্তান হবে। 

আশা করছি আপনারা এতক্ষণে হয়তো বা বুঝে গেছেন নাভি দেখে কিভাবে বুঝবেন যে আপনার ছেলে সন্তান হবে না মেয়ে সন্তান হবে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন যে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে বাড়িতে সহজে ঘরোয়া ভাবে নাভি দেখে কিভাবে বোঝা যায় যে গর্ভে সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে সেই বিষয়ে। একজন মা যখন গর্ভবতী হয় তখন তিনি অতি আগ্রহী হয় যে তার কি সন্তান হবে ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে? এ বিষয়টি জানার জন্য অনেকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাই। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার মাধ্যমে বোঝা যায় গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাফি করে গর্ভে কি সন্তান আছে দেখা আইন দণ্ডনীয় অপরাধ।

গর্ভের সন্তান ছেলে কিংবা মেয়ে তা যে সকল তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় সেগুলো ১০০% বাস্তব নয়। কিন্তু অধিকাংশ নারীদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রে সত্যি হয়ে থাকে। আপনি যদি পেট দেখে জানতে চান গর্ভের সন্তান ছেলে কিংবা মেয়ে তাহলে আপনাকে পাঁচ থেকে সাত মাস অপেক্ষা করতে হবে। গর্ভের বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে তখন পঞ্চম মাসের পর থেকে বোঝা যায়। গর্ভের বাচ্চা পাঁচ মাস থেকে মোট তাজা হয় এবং নড়াচড়া শুরু করে।

যারা প্রথমবার গর্ভবতী হয় তারা পঞ্চম মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ষষ্ঠ মাসের শুরু থেকে বুঝতে পারবে যে তার পেটের ভিতর বাচ্চা নড়াচড়া করছে। আর কেউ যদি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হয় তাহলে সে চতুর্থ মাস থেকে বুঝতে পারবে তার পেটে বাচ্চা নড়াচড়া করছে। অনুমান করা হয় যাদের পেট বাস্কেট বলের মত গোলাকার তাদের পুত্র সন্তান হবে বলে মনে করা হয়। অথবা যাদের পেট গোলাকার অর্থাৎ তরমুজের মতো হয়ে থাকে তাদের মেয়ে সন্তান হবে বলে মনে করা হয়।

যখন কোন মা তার গর্ভে ছেলে সন্তান থাকে তখন তার পেট নিচের দিকে ভার হয় এবং যে সকল মহিলাদের পেটের ভার উপরের দিকে হয় তাদের মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি কোন গর্ভবতী মহিলার পেটে ছেলে সন্তান থাকে তাহলে তার সমস্ত শরীরের চেয়ে তার পেট সমস্ত শরীরের চেয়ে বেশি মোটা হয়। যদি আপনার গর্ভে পুত্র সন্তান থাকে তাহলে কোন দিকে নাড়াচড়া করলে আপনি বুঝবেন যে আপনার পুত্র সন্তান হবে।


বাচ্চা যখন নড়াচড়া শুরু করে তখন আপনি খেয়াল করুন আপনার বাচ্চা পেটের কোন দিকে নাড়াচড়া করে। যদি আপনি দেখেন যে আপনার পেটের ডান দিকে বেশি বাচ্চা নড়াচড়া করে তাহলে আপনার গর্ভে ছেলে সন্তান আছে বলে মনে করা হয়। আর আপনার পেটের যদি বাম দিকে বাচ্চা বেশি নাড়াচড়া করে তাহলে মনে করবেন আপনার কন্যা সন্তান হবে। ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে পেটের ডানদিকে অবস্থান করে এবং মেয়ে বাচ্চা হলে পেটের বাম দিকে অবস্থান করে।

যে কথা বলুন বলা হলো এগুলো প্রাচীন শাস্ত্র থেকে উঠে এসেছে বিজ্ঞান এগুলোকে বিশ্বাস করে না। বিজ্ঞান মনে করে যে বাচ্চা যখন জরায়ুতে যে পাশে ভূনের সৃষ্টি হয় বাচ্চা সেই পাশেই বড় হতে থাকে। সেজন্য বলা যায় যে গর্বের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা নড়াচড়া দেখেই সঠিক বলা যায় না।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়

আপনারা অনেকে রয়েছেন যারা জানতে চান যে গর্ভে সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে সেজন্য অনেকেই আলট্রাসনোগ্রাম করে। একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় তখন তার অনেক কৌতুহল থাকে যে তার গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে সে বিষয়টির জানের জন্য অনেকেই আলট্রাসনোগ্রাম করে। গর্ভে কি সন্তান রয়েছে সেটা জানার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয় আর সেজন্য ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়।

আলট্রাসনোগ্রাম করার পরে অনেক সময় ডাক্তার বলেন না গর্ভে থাকার সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে। আপনারা যারা জানতে চান যে গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে ডাক্তার যখন না বলে তখন আপনারা নিজেরাই রিপোর্ট দেখে জানতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারবেন যে কিভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে বোঝা যায় গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে হবে।

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে সেটি জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে কারণ আপনি যখন ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ হওয়ার আগে আলট্রাসনোগ্রাম করবেন তখন বাচ্চার লিঙ্গ ভালোভাবে প্রকাশিত হয় না সেইজন্য বুঝা যায় না। গর্ভে থাকা সন্তানের হার্টবিট যদি গড়ে ১২০ এর বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার ছেলে সন্তান হবে। 

একজন মহিলার গর্ভে যখন ছেলে সন্তান থাকে তখন তার ব্লাড প্রেসার বেশি থাকে এবং যখন একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভে মেয়ে সন্তান থাকে তখন তার ব্লাড প্রেসার কম থাকে এগুলো প্রচলিত তথ্য এরকম বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই।আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের কোথাও নির্দিষ্ট করে লিখা থাকে না কিন্তু আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যদি জেন্ডার M লেখা থাকে তাহলে ছেলে সন্তান হবে।


আর আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যদি জেন্ডার F লেখা থাকে তাহলে মেয়ে সন্তান হবে বলে মনে করা হয়। গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা আলট্রাসনোগ্রাম রিপোটের মাধ্যমে দেখা হয়ে থাকে। সেজন্য যখন আপনারা আলট্রাসনোগ্রাম করবেন তখন অবশ্যই ডাক্তার থেকে রিপোর্ট জেনে নিবেন।

ছেলে সন্তান কত মাসে হয়

গর্ভে থাকা সন্তান কখন পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হবে এটা নিয়ে গর্ভবতী পরিবার অনেক চিন্তায় থাকে। যদিও কিছু দরকারি তথ্য না জানার কারণে এর সকল চিন্তা কারণ হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেকের ডেলিভারির তারিখ পার হয়ে গেলেও এ ধরনের ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।সাধারনত নরমাল ডেলিভারি আশা করা যাই ৩৮-৪২ সপ্তাহে যেকোনো সময় সন্তান প্রসব হতে পারে। আর যদি ৩৮ সপ্তাহের আগে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাহলে তাকে অপরিপক্ক শিশু বলা হয়।

সেজন্য ওই সকল শিশুদের বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। আর যদি গর্ভকাল ৪২ সপ্তাহের বেশি হয় তাহলে অপেক্ষা করা উচিত নয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কৃত্রিম উপায়ে ব্যথা তুলে সন্তান ভুমিষ্ট করার চেষ্টা করতে হবে। একজন গর্ভবতী নারীর গর্ভকাল শুরু হয় চল্লিশ সপ্তাহের অর্থাৎ ২৮০দিন বা ৯ মাস ১০ দিনের হয়ে থাকে। এই দিন গণনা শুরু হয় নারীদের শেষ পিরিয়ডের প্রথম দিনের তারিখ থেকে।

আরো পড়ুনঃঅশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা

সাধারণত একজন নারীর ডিম্বানুর সাথে একজন পুরুষের শুক্রাণু যখন মিলিত হয় তখন থেকে দিন গণনা শুরু করা উচিত কিন্তু নিষিদ্ধকরণ ঘটেছে বলা কঠিন। সেজন্য পিরিয়ডের প্রথম দিনের তারিখ হতে গণনা করা হয়। যেহেতু একজন গর্ভবতীর গর্ভকাল 100% সঠিকভাবে গণনা করা যায় না সেহেতু ডেলিভারি কবে হবে সেটাও বলা কঠিন। আবার এখানে আরেকটি সমস্যা হল একজন নারীর যদি পিরিয়ড অনিয়মিত হয় তাদের ডেলিভারির তারিখ নিয়েও গরমিল হওয়া সম্ভাবনা থাকে।

তাহলে এতোটুকু পড়ার পর আপনার হয়তো এখন চিন্তায় পড়ে যাবেন যে তাহলে ডেলিভারি কবে হবে সেটা একেবারে অসম্ভব, তাই আমরা প্রথমের দিকেই বলেছিলাম যে একজন গর্ভবতী মহিলার ৩৮ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান প্রসব করবে সেজন্য আগে থেকেই তার পরিবারকে সকল প্রকার শারীরিক মানসিক এবং আর্থিক প্রস্তুতি থাকতে হবে।

তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন গর্ভে থাকা ছেলে সন্তান অথবা মেয়ে সন্তান যাই হোক না কেন সেটা ৯ মাস ১০ দিন অর্থাৎ ২৮০ দিন বা ৪০ সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে ছেলে অথবা মেয়ে সন্তান কিছুদিন আগে এবং পরে হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ছেলে বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে সেই বিষয়ে। একজন মা যখন গর্ভবতী হয় তখন তিনি অতি আগ্রহী হয় যে তার কি সন্তান হবে ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে? এ বিষয়টি জানার জন্য অনেকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাই। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার মাধ্যমে বোঝা যায় গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গর্ভাবস্থায় আলট্রাসনোগ্রাফি করে গর্ভে কি সন্তান আছে দেখা আইন দণ্ডনীয় অপরাধ।

গর্ভের সন্তান ছেলে কিংবা মেয়ে তা যে সকল তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় সেগুলো ১০০% বাস্তব নয়। কিন্তু অধিকাংশ নারীদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রে সত্যি হয়ে থাকে। আপনি যদি পেট দেখে জানতে চান গর্ভের সন্তান ছেলে কিংবা মেয়ে তাহলে আপনাকে পাঁচ থেকে সাত মাস অপেক্ষা করতে হবে। গর্ভের বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে তখন পঞ্চম মাসের পর থেকে বোঝা যায়।

গর্ভের বাচ্চা পাঁচ মাস থেকে মোট তাজা হয় এবং নড়াচড়া শুরু করে। যারা প্রথমবার গর্ভবতী হয় তারা পঞ্চম মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ষষ্ঠ মাসের শুরু থেকে বুঝতে পারবে যে তার পেটের ভিতর বাচ্চা নড়াচড়া করছে। আর কেউ যদি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হয় তাহলে সে চতুর্থ মাস থেকে বুঝতে পারবে তার পেটে বাচ্চা নড়াচড়া করছে। অনুমান করা হয় যাদের পেট বাস্কেট বলের মত গোলাকার তাদের পুত্র সন্তান হবে বলে মনে করা হয়।

অথবা যাদের পেট গোলাকার অর্থাৎ তরমুজের মতো হয়ে থাকে তাদের মেয়ে সন্তান হবে বলে মনে করা হয়। যখন কোন মা তার গর্ভে ছেলে সন্তান থাকে তখন তার পেট নিচের দিকে ভার হয় এবং যে সকল মহিলাদের পেটের ভার উপরের দিকে হয় তাদের মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি কোন গর্ভবতী মহিলার পেটে ছেলে সন্তান থাকে তাহলে তার সমস্ত শরীরের চেয়ে তার পেট সমস্ত শরীরের চেয়ে বেশি মোটা হয়।

যদি আপনার গর্ভে পুত্র সন্তান থাকে তাহলে কোন দিকে নাড়াচড়া করলে আপনি বুঝবেন যে আপনার পুত্র সন্তান হবে। বাচ্চা যখন নড়াচড়া শুরু করে তখন আপনি খেয়াল করুন আপনার বাচ্চা পেটের কোন দিকে নাড়াচড়া করে। যদি আপনি দেখেন যে আপনার পেটের ডান দিকে বেশি বাচ্চা নড়াচড়া করে তাহলে আপনার গর্ভে ছেলে সন্তান আছে বলে মনে করা হয়। আর আপনার পেটের যদি বাম দিকে বাচ্চা বেশি নাড়াচড়া করে তাহলে মনে করবেন আপনার কন্যা সন্তান হবে।

ছেলে বাচ্চা পেটে থাকলে পেটের ডানদিকে অবস্থান করে এবং মেয়ে বাচ্চা হলে পেটের বাম দিকে অবস্থান করে। যে কথা বলুন বলা হলো এগুলো প্রাচীন শাস্ত্র থেকে উঠে এসেছে বিজ্ঞান এগুলোকে বিশ্বাস করে না। বিজ্ঞান মনে করে যে বাচ্চা যখন জরায়ুতে যে পাশে ভূনের সৃষ্টি হয় বাচ্চা সেই পাশেই বড় হতে থাকে। সেজন্য বলা যায় যে গর্বের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা নড়াচড়া দেখেই সঠিক বলা যায় না।

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি

আজকের আর্টিকেলে আমরা একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভবতী হওয়ার পর বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা করব একজন গর্ভবতী মায়ের ছেলে সন্তান হওয়ার কি কি লক্ষণ দেখা দেয় সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি? 

  • ইউরিন কালারঃ একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবের রঙ যদি গাড়ো হুলদে হয় তাহলে বুঝতে হবে যে ছেলে সন্তান হতে চলেছে।
  • স্তনের আকৃতিঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের স্তনের পরিবর্তন হয়। কারণ এই সময় স্তনের দুধের সঞ্চয় হয়। সাধারণত এ সময় ডান দিকের থেকে বাম দিকে স্তন বেশি ভারী হয়। কিন্তু আপনি যদি উল্টো ঘটনা ঘটতে থাকেন তাহলে আপনি বুঝবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাওয়াঃ গর্ভাবস্থায় আপনি যদি অনুভব করেন আপনার পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছেন তাহলে বুঝবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • হার্ট রেটঃ গর্ভাবস্থায় ডাক্তাররা বাচ্চার হার্ট রেট থাকেন এ সময় যদি বাচ্চার হার্ট রেট ১৪০ এর বেশি হয় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • চুলের ঘনত্বে পরিবর্তনঃ যখন একজন গর্ভবতী মায়ের পেটে ছেলে সন্তান থাকে তখন তার চুলের ঘনত্বের পরিবর্তন আসে।
  • বেশি খুদে লাগাঃ গর্ভবতী হওয়ার পর যদি আপনার খাবারের চাহিদা বেশি বেড়ে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি ছেলে সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন।
  • বামদিকে ফিরে ঘুম ঃ একজন গর্ভবতী মা ক্লান্ত হয়ে থাকে সেজন্য তিনি বিছানায় ঘুমানোর জন্য গেলেই খুব দ্রুত ঘুমিয়ে যান তখন তার স্বামীকে খেয়াল রাখতে হবে যে তার স্ত্রী কোন দিকে ফিরে ঘুমাচ্ছেন যদি বাম দিকে ফিরে ঘুমান তাহলে বুঝে নিবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • ওজন বৃদ্ধিঃ পেটে ছেলে সন্তান থাকলে মায়ের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়।

তাহলে এতক্ষণে হয়তো আপনারা বুঝতে পারলেন যে একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় এবং তার ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে উপরের লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। আর আপনাদের যদি উপরের লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তাহলে আপনারা বুঝে নিবেন যে আপনার গর্ভে থাকার সন্তানটি ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় জেনে নিন

গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে সেটা নিয়ে আমাদের গর্ভবতী মায়েদের কৌতূহল থেকে থাকে। আজকে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো ঘরোয়া আমরা পরীক্ষা করে নিতে পারব যে গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে। তাহলে চলুন দেরি না প্রয়োজনে নেয়া যাক গর্ভে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায়।

  • ব্রেকিং সোডা পরীক্ষাঃ এই পরীক্ষাটি খুব সহজেই করতে পারবেন সেজন্য আপনার প্রয়োজন হবে দুইটা গ্লাস । একটাতে এক চা চামচ ব্রেকিং সোডা আর একটাতে এক চা চামচ পরিমাণে ইউরিন নিতে হবে ইউরোনের পাত্রে ইউরিন গ্লাসে ধরার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যেন কোন মহিলা বা অন্যান্য কোন উপাদান ইউনিয়নের সাথে মিশিয়ে না যায়। প্রয়োজন হলে আপনি হাতে হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন।
  • মনে রাখবেন ঘুম থেকে উঠে সকলে পরীক্ষার করতে হবে। এবারে বেকিং সোডা পাত্রে সবটুকু ইউরিন ঢেলে দিন এবং পর্যবেক্ষণ করুন দেখেন যদি কোন পরিবর্তন ঘটে তাহলে আপনার মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি আর যদি দেখেন মিশ্রণটা ফুলে উঠছে বা পরিবর্তন লক্ষণ করা যাচ্ছে সেক্ষেত্রে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • খাবারের প্রতি আকর্ষণঃ গর্ভাবস্থায়ী বেশিরভাগ মহিলা হরমোন ভারসাম্যহীনতায় ভোগে। যার ফলে খাবারের প্রতি আপনার অরুচি পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। আপনার যদি মিষ্টি বা যিনি যুক্ত খাবার বেশি খেতে ইচ্ছে হয় তাহলে সম্ভবত মেয়ে সন্তান হবে আর যদি আপনার ঝাল বা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার বেশি ইচ্ছা হয় তাহলে আপনার ছেলে সন্তান হতে পারে।
  • সকালে অসুস্থতাঃ প্রচলিত আছে যে গর্ব অবস্থায় যদি সকালে অল্প অল্প বমি বমি এবং অল্প পরিমাণে অসুস্থ হন তাহলে ছেলে সন্তান হতে পারে। আর যদি শারীরিক অসুস্থতা বেশি হয় আর বন্ধু ভাব বেশি হয় তাহলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপঃ গর্ভবতী মহিলার বাচ্চা প্রসবের আগে রক্তচাপের ওঠানামা অনেক কিছুই নির্দেশ করে। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে যদি প্রসবের আগে গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ কমে থাকে তাহলে কন্যা সন্তান আর যদি রক্তচাপ বেশি থাকে তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বামদিকে ফিরে ঘুমঃ একজন গর্ভবতী মা ক্লান্ত হয়ে থাকে সেজন্য তিনি বিছানায় ঘুমানোর জন্য গেলেই খুব দ্রুত ঘুমিয়ে যান তখন তার স্বামীকে খেয়াল রাখতে হবে যে তার স্ত্রী কোন দিকে ফিরে ঘুমাচ্ছেন যদি বাম দিকে ফিরে ঘুমান তাহলে বুঝে নিবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • ইউরিন কালারঃ একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে যে গর্ভবতী মায়ের প্রস্রাবের রঙ যদি গাড়ো হুলদে হয় তাহলে বুঝতে হবে যে ছেলে সন্তান হতে চলেছে।
  • পেটের আকারঃ গর্ভবতীর পেটের ভার যদি নিচের দিকে থাকে তাহলে অনুমান করা হয় হবে ছেলে সন্তান হবে।
  • স্তনের আকৃতিঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের স্তনের পরিবর্তন হয়। কারণ এই সময় স্তনের দুধের সঞ্চয় হয়। সাধারণত এ সময় ডান দিকের থেকে বাম দিকে স্তন বেশি ভারী হয়। কিন্তু আপনি যদি উল্টো ঘটনা ঘটতে থাকেন তাহলে আপনি বুঝবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাওয়াঃ গর্ভাবস্থায় আপনি যদি অনুভব করেন আপনার পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছেন তাহলে বুঝবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।
  • চুলের ঘনত্বে পরিবর্তনঃ যখন একজন গর্ভবতী মায়ের পেটে ছেলে সন্তান থাকে তখন তার চুলের ঘনত্বের পরিবর্তন আসে।
  • হার্ট রেটঃ গর্ভাবস্থায় ডাক্তাররা বাচ্চার হার্ট রেট থাকেন এ সময় যদি বাচ্চার হার্ট রেট ১৪০ এর বেশি হয় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।

লেখকের শেষকথাঃগর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় জেনে নিন

আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের গর্বের সন্তান ছেলে  না মেয়ে হবে সহজ ঘরোয়া পরীক্ষায় উপায় জানিয়েছি। আশা করছি বিষয়গুলো ভালো করে বুঝতে পারছেন। এছাড়া আপনারা একজন গর্ভবতী মায়ের কি সন্তান হবে তা ডাক্তারের কাছে আলতাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করার মাধ্যমে দেখতে পারেন। ঘরোয়াভাবে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলার ছেলে কিংবা মেয়ে হবে তা পরীক্ষা করা যায় আপনারা তা বুঝতে পারলেন।

আর এই আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো এর মধ্যে কোথাও যদি বুঝতে অসুবিধা থাকে তাহলে আমাদের জানাবেন। আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলেই অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবীর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। তাদেরও এ বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিবেন। নিত্য নতুন সব আপডেট খবর পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url